ইউরোপ ব্যুরো : জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুইডেন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শনিবার রাজধানী স্টকহোমে এক দোয়া মাহফিল ও শোক সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডঃ ফরহাদ আলী খানের পরিচালনায় শোক সভায় বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সুইডেন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার হায়দার।
শোক সভায় বক্তারা বলেন, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশর স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারাই ‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিলুপ্ত করতে চেয়েছিল। আগস্ট মাস বাঙালী জাতির জীবনে বিয়োগান্তক মাস। হত্যা, খুন, স্বজন হারানোর মাস। জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করার মাস। একাত্তরের পরাজিত শত্রু ও তাদের দোসররা বারবার বেছে নিয়েছে অভিশপ্ত এই আগস্টকে।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত । কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে ।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই শোকের মাসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে প্রবাসে প্রকৃত মুজিব আদর্শের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিতে হবে।
এ সময় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সুইডেন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হক খান রানা, আমিনুল ইসলাম, জুলফিকার হায়দার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ওয়ালিদ জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ মান্নান মোল্লা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নীলা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলম, ডাঃ তামান্না হোসেন খান ও নাসিম আহমেদ প্রমুখ। আরো বক্তব্য রাখেন সুইডেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনিস হাসান তপন, সুইডেন যুবলীগের আহবায়ক জোবায়দুল হোক সবুজ, যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ মহিম এবং সুইডেন ছাত্র লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রায়হান কিবরিয়া। সভায় সুইডেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মী সহ বিপুলসংখ্যক মুজিবাদর্শের অনুসারীরা অংশগ্রহণ করেন।