রঞ্জু আহমেদ সৌদি আরব সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ছুরিকাঘাতে মোজাম্মেল হক (২৭) নামে ১-বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মক্কা নগরীর নাক্কাছা পাশ্বে রুসাইপা নামক স্থানে কুলিং কর্ণার নামে একটি ক্যাফেটেরিয়ার ভেতর এ হত্যাকান্ড ঘটে।
১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ফজরের নামাজের পরপর দোকানের মালিক ও কয়েকজন ক্রেতা দোকানে আসলে ভেতরে দোকানের কর্মচারী মোজাম্মল হকের ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রতিবেশি প্রবাসীদের অনুমান, সকালে নাস্তা তৈরি করতে দোকানের সাটার সামান্য খোলা রেখে কাজ করা অবস্থায় ভোর রাতে কে বা কারা দোকানে প্রবেশ করে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
খবর পেয়ে সৌদি পুলিশ এসে নিহত মোজাম্মেলের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বর্তমানে মক্কার একটি সরকারী হাসপাতালের মর্গে লাশটি রয়েছে।
নিহত মোজাম্মল হকের গ্রামের বাড়ী বাংলাদেশের পর্যটন জেলা কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারগা-নালা ইউনিয়নের মাদ্রাসা গেইট এলাকায়। তিনি এলাকার সুলতান আহমদের বড় ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই কক্সবাজার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এমবিএ’র ছাত্র এনামুল হক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রবাসীদের জানান পরিবার ও বৃদ্ধ বাবার দিকে তাকিয়ে গত ১ বছর ৯ মাস আগে তার বড় ভাই মোজাম্মেল হক সৌদিআরবে যান। বৈধ ভিসা নিয়ে সৌদিতে গেলেও এখনো ইকামা/ওয়ার্কপারমিট পাননি তিনি।
কয়েকবার টাকা দিলেও ইকামা পাওয়া সম্ভব না হওয়ায় অন্য লোকের মাধ্যমে ইকামা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল দেন। এনামুল হক বলেন আমার ভাই ইকামার জন্য যাকে ২০-হাজার রিয়াল দিয়েছিলেন, তার বাড়িও সম্ভবত চট্টগ্রামেই। তার সঙ্গে ঘটনার আগের দিন বেশ কথাকাটি ও ঝগড়া হয় বলে বাড়িতে ফোনে জানিয়েছিলেন আমার ভাই নিহত মোজাম্মেল হক”।
“আগামীকাল আমাকে একামা দিতে হবে না হয় টাকা দিয়ে দিতে হবে” এমন কথা ওই লোককে বলেছিলেন মোজাম্মেল হক। এনামুল হক দাবি করেন “যাদের সাথে কথাকাটি ও ঝগড়া হয়েছে তারা ও কয়েকজন স্থানীয় রোহিঙ্গা মিলে আমার ভাইকে খুন করেছে বলে আমি সন্দেহ করছি।”