দীর্ঘ দিন প্রবাসে অবস্থান করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন ইউরোপ এর সভাপতি আবু জাফর রাসেল ও পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট ও যুগ্ন আহবায়ক দিলোয়ার আহমেদ রাফি সিলেট মহানগর ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মানিক মিয়ার সভাপতিত্বে ও ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম সায়েম আহমদের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু খান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপাপ্ত সভাপতি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মিফতা সিদ্দিকী।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, “ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশে আমি দুই বীর সৈনিকদের স্বাগত জানাচ্ছি। স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা তাদের পরিবারকে সময় না দিয়ে নিজের কাজ কর্ম বাদ দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে তারা সক্রিয় ভাবে কাজ করেছে। প্রবাসে থেকে আমাদের এই দুই ভাই গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। বহির্বিশ্বের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট ও আবু জাফর রাসেল ও দিলোয়ার আহমেদ রাফির অংশগ্রহণ ছিলো, স্বৈরশাসকের পতন আন্দোলনে তাদের ভুমিকা অবিস্মরণীয়। তাই আমাদের উচিত তাদের ত্যাগ কে সম্মান করা। আজ যারা তাদের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “সবাই মিলে নির্বাচনে বিজয় এনে সরকার গঠন করতে পারলে ইনশাল্লাহ দেশ নেতা তারেক রহমানকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে পাবো। আজকের সংবর্ধিত আমাদের প্রবাসী তিন ভাইকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
সংবর্ধিত অতিথি আবু জাফর রাসেল বলেন, “আপনারা যেভাবে দেশে থেকে মাফিয়া আওয়ামী সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, আমরা প্রবাসে থেকেও বিভিন্নভাবে ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলাম। শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কণ্ঠস্বর কেড়ে নিয়েছিলেন। গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছিলেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। কেউ কোনো কথা বলতে পারিনি। দেশকে একটি কারাগার বানিয়েছিল। বিগত দিনে বিএনপি শত শত নেতাকর্মী অনেক গুম, হত্যাসহ মামলা-হামলায় নির্যাতিত হয়েছেন। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিপ্লবের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে।”
আরেক সংবর্ধিত অতিথি পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট বলেন, “দীর্ঘদিন পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশে ফিরেছি। এটা আন্দদদায়ক খবর।বাংলাদেশে ফিরে শেখ হাসিনাকে খুব অনুভব করছি। তার পিতা ও তাকে উপাধি দিয়েছি একজন বীর পলাতক শ্রেষ্ঠ ও বীর পলাতক উত্তম। সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা,
ব্যাক্তি পূজা বন্ধ করুন। ব্যাক্তি পূজা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শহীদ জিয়ার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।”
৫ ই আগস্ট এর গনঅভ্যুত্থানে আগে ও পরে যারা শহীদ হয়েছেন রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন মহান রাব্বুল আলামিনের যেন হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সকলকে যেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকের সাথে আমার যোগাযোগ কম ছিল ভবিষ্যতে এই ৭ নং ওয়ার্ডের যেকোন ভাল উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ইনশাআল্লাহ আমি পাশে থাকব বলে আশ্বস্ত করেন এবং যারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন তাদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।”
আরেক সংবর্ধিত অতিথি দিলোয়ার আহমেদ রাফি বলেন , “দেশ স্বাধীন হলেও আমরা এখনও পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পাইনি। আমাদের দল এখনও ক্ষমতায় আসেনি। আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যম নতুন সরকার গঠন হবে। তবে নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। এখনই খুশি হওয়ার কিছু নেই। দলের প্রতি সম্মান রাখতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
আরও বক্তব্য রাখেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ সভাপতি কাজী নইমুল ইসলাম, জালাল উদ্দীন, আব্দুল গফুর বেলাল,সেলিম আহমদ, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক সোহাগ চৌধুরী ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু খান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তার খান ,মহানগর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমদ , সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক লায়েক আহমদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি মানিক মিয়া বলেন, “আমাদের ওয়ার্ডের প্রবাসী বিএনপির নেতৃবৃন্দদের সম্মান জানানো আমাদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ শেখ হাসিনা সরকার পতনে তাদের অবদান ভুলার নয়। তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সিলেট মহানগর এর ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি , যুবদল, সেচ্ছাসেবক, ছাত্রদল সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের প্রতি সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।”