সুইডেন বিএনপিতে কোন্দল- উপদেষ্টা জিন্টু ও সেক্রেটারী মোহন লাঞ্ছিত

smart

বারি সরকার : বিগত ২৮ নভেম্বর ২০১৮ সুইডেনের রাজধানী স্টকহমে এক সেমিনার করাকে কেন্দ্র করে সুইডেন বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে এক বিশাল কোন্দলের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে সুইডেন বিএনপির নেতৃত্ব স্থানীয় ৩ জন- উপদেষ্টা মহিউদ্দিন জিন্টু, সভাপতি এমদাদ হসেন কচি ও সেক্রেটারি নাজমুল মোহন গত ২ বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটি নিয়ে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বারংবার সম্মেলনের জন্য চাপ দিলেও তারা কোন কর্ণপাত নাকরে ও সিদ্ধান্ত না দিয়ে সুইডেন বিএনপিকে একরকম পারিবারিক সম্পদ বানিয়ে রেখেছে। বিগত মাস গুলিতে কয়েকবার সম্মেলনের কথা বলা হলেও নেতারা নিজেদের মধ্যে পদ বন্ঠনে একমত হতে না পারায় ঝুলন্ত রয়েছে সকল কার্যক্রম। বর্তমানে দেশে ভোট হবে এই অজুহাতে সম্মেলনের তারিখ সাম্নের বছর হবে বলে জানায়। উত্তপ্ত নেতা কর্মীরা কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমানের সাথে কথা বলতে চাইলেও ক্ষমতাসীনরা তা হতে দেননি। নেতাকর্মীদের সাথ দুর্ব্যবহার করেছেন বহুবার।

২৭ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমানের সাথে কথা বলতে কর্মীদের এক বিশাল অংশ হোটেলে উপস্থিত হন। মাহিদুর রহমান রুম থেকে নীচে নেমে আসার পর উপদেষ্টা জিন্টু কর্মীদেরকে সরে যেতে বলেন। আরও বলেন কাল মিটিং এর পর মাহিদুর রহমান সময় পেলে কথা বলবেন। ঠিক ঐ সময় একজন নেতা সরাসরি জিন্টুকে চুপ করতে বলেন এবং মাহিদুর সাহেবকে সালাম জানিয়ে কুশল আদান প্রদান করেন। এনতা বস্থায় সুইডেন বিএনপির সেক্রেটারি নাজমুল মোহন কর্মীদের সাথে উচ্চস্বরে ধমক দিয়ে বলেন, আমি সুইডেন বিএনপির সেক্রেটারি বলছি, মাহিদুর ভাইকে কারো সাতেহ কথা বলতে আমরা দিবো না, তোমরা পারলে যা ইচ্ছা করো। এ পর্যায়ে মহিউদ্দিন জিন্টু বলেন, আমরা আমাদের বন্ধু ও পরিচিতদের নিয়ে সুইডেন বিএনপি করেছি আমাদের জন্য, তোমাদেরকে আমাদের দরকার নাই। নেতাকর্মীদের হল্লা চিল্লার মাঝে একজন নেতা মহিউদ্দিন জিন্টু ও সেক্রেটারি নাজমুল মোহনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। কাঁদোকাঁদো চোখে তারা সেখান থেকে লজ্জায় বের হয়ে যান।

smart

পরে মাহিদুর রহমান সাহেব নেতাকর্মীদের কথা শুনেন এবং সব কিছু সুরাহা করবেন বলে জানান। নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ১২১ জনের সুইডেন বিএনপির কমিটি থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন অনুষ্ঠানে ৫ থেকে ১৫ জনের উপর কমিটির লোক হয় না। গত কিছুদিন আগে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবীতে এক ডেমনেস্ত্রশনে লোক সমাগম ছিল ৬ জন। গত ১৯ নভেম্বর ২০১৮, জনাব তারেক রহমানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে লোক সমাগম ছিল ৯ জন। গত কিছুদিন আগে তথাকথিত সুইডেন যুবদলের সমাবেশে লোক সমাবেশ ২৪ জন হয়েছিল, কিন্তু যুবদলের কমিটির কর্মী উপস্থিত ছিল মাত্র ৩ জন, বাকিরা ছিল বন্ধু বান্ধব আর পারিবারিক লোকজন।

নেতাকর্মীরা আরও জানান, ২৮ নভেম্বরের অনুষ্ঠান সুইডেনের নেতাকর্মীদেরকে না জানিয়ে করার চেষ্টা করা হয়েছে। জানানো হয়নি কাউকেও। দাওয়াত দেয়া হয়েছে ইউরপের নেতৃবৃন্দদেরকে। নেতাকর্মীদেরকে উপেক্ষা করার ফলস্বরূপ ও আন্ত কোন্দলের কারনে, উক্ত অনুষ্ঠান সুইডিশ পার্লামেন্টে হবার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে তড়িঘড়ি করে সুইডিশ রেফুজি ক্যাম্পের এক ভাষা শেখানোর স্কুলের ক্লাস রুমে সুইডিশ কোন এম পি বা ঊর্ধ্ব তন কর্মকর্তা ছাড়াই সাদামাটা আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভাতে ২৫/৩০ জন উপস্থিত ছিল। সুইডেন বিএনপির ৭ জন ও বাকীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগতরা।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments