মনির মোল্যা : হেমন্ত মৌসুমে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় উফশি আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছরে উপজেলায় আমন চাষে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১১ হাজার ৬শ’ হেক্টর। তা অতিক্রম করে ১২ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে উফশি আমন ধানের চাষ হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পাট কাটার পরেই ঊফশি আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। বিঘা প্রতি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ ধান ফলন হচ্ছে। এতে কৃষকের মূখে হাসি ফুটে উঠেছে।
জানা যায়, আগে বছরে একটি জমিতে দুই প্রকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হতো। এরমধ্যে পাট ও পিয়াজ অন্যতম।
বর্তমানে একটি জমিতে ৩ প্রকার ফসলের চাষ করা হয়ে থাকে। শীত মৌসুমে এই অঞ্চলের কৃষকরা জমিতে পিয়াজ চাষ করে। চৈত্র মাসে পিয়াজ ঘরে তুলার পরে পাটের বীজ বপন করা হয়। অনেকেই পাট কাটার আগে (ছোট পাট ছাটাইয়ের সময়) বা পাটের মধ্যে দিয়ে আধুনিক কায়দায় উফশি আমন ধানের বীজ বপন করে থাকেন। আবার অনেকেই পাটকাটার পরে আমনের চারা রোপন করেন। পানি কম থাকায় এবার কৃষকরা আমন চাষের উপর ঝুকে পড়ে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠেই আমন ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে।
সালথা গ্রামের কৃষক আফজাল শেখ এপ্রতিনিধিকে বলেন, এই উপজেলার প্রধান ফসল পাট ও পিয়াজ। পাট-পিয়াজের পাশাপাশি ধান, গম, ধনে, রাই, সরিষা, তিলসহ হরেক রকমের ফসলের চাষ হয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার আমন ধানের ফলন বেশি হচ্ছে। বিঘা প্রতি ২৫/৩০ মণ ধান ফলন হয়েছে। এবছর যে পরিমান ধান উৎপাদন হচ্ছে, তাতে আমরা কৃষকরা অনেক খুশি হয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, উপজেলার মোট আয়তন ১৮৫.১১ বর্গ কিলোমিটার। কৃষকের চাষাবাদী জমির পরিমান ১৩ হাজার ৬শ’ ৭৫ হেক্টর। এখানে ৩০ হাজার ১শ’ ২২ টি কৃষি পরিবার রয়েছে। এবার উফশি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১১ হাজার ৬শ’ হেক্টর। তা অতিক্রম করে ১২ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া ধানের অনুকুলে থাকায় এবছর প্রচুর ধান উৎপাদন হচ্ছে।