মনির মোল্যা : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার অন্যতম ফসল পাট ও পিঁয়াজ। বর্তমানে এক মন পিঁয়াজের টাকায় ১ কেজি ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ৬শ’ টাকা দরে প্রতি মন পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এখানকার হাট-বাজারে ১ কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হয়ে থাকে ৭শ’ থেকে ৮শত টাকা পর্যন্ত। এবছর প্রতি মন পিঁয়াজ উৎপাদনে ব্যায় হয়েছে ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা। পিঁয়াজের মূল্যে কম থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
রবিবার সালথা সদর বাজারে পিঁয়াজ বিক্রি করার সময় পিঁয়াজ চাষী আবুল হোসেন ও নুরুদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, এবছরে প্রতি মন পিঁয়াজ উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে- ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা। বাজারে প্রতিমন পিঁয়াজ বিক্রি করছি ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। বর্তমানে কৃষকের প্রতি মন পিঁয়াজে ৫/৬ শত টাকা লোকসান হচ্ছে। এদিকে বাজারে ১ কেজি ইলিশ মাছ কিনতে এক মন পিঁয়াজের টাকা লাগে। এতে দরিদ্র কৃষক ইলিশ মাছ ক্রয় করা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। একমাত্র পিঁয়াজের দাম কম থাকায় তাদের সকল আশা নৈরাশায় পরিণত হয়েছে।
এসময় মানিকগঞ্জ থেকে আসা পিঁয়াজ ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম ও মাঝারদিয়ার ব্যবসায়ী নবাব আলী জানান, এবার পিঁয়াজের দাম কম থাকায় যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তেমনি ব্যবসায়ীদেরও লাভের চেয়ে লোকসানটা বেশি হচ্ছে। তারপরও লাভের আশায় পেশাগত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
সদর বাজারের আড়ৎদার আঃ ছালাম ও নিছার উদ্দীন বলেন, শুরু থেকে পিঁয়াজের দাম কম থাকায় বেশির ভাগ চাষী পিঁয়াজ বাজারে বিক্রি না করে ঘরে রেখে দেয়। যার কারণে এবছর ঘরে থাকা অধিকাংশ পিঁয়াজ পঁচন ধরেছে। একদিকে পিঁয়াজের পঁচন, অন্যদিকে মূল্যে কম, এই দুই সমস্যার মধ্যে পড়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বাজারে পন্য কম আমদানি হওয়ায় আড়ৎদারদেরও কিছুটা লোকসান হচ্ছে। পাশাপাশি পিঁয়াজ বাজারের ইজারাদারেরও লোকসানের ভাগ নিতে হচ্ছে। পিঁয়াজের মুল্যে কম থাকায় আসছে বছরে পিঁয়াজের আবাদ কমে যেতে পারে।