মনির মোল্যা : সাম্প্রতি ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার কয়েকটি জায়গায় পারাপারের জন্য এখনও বাঁশের সাঁকো ব্যবহার হচ্ছে। হাট-বাজারে কৃষি পণ্য নিতে নানান সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে স্থানীয়দের। ধনী-গরীব সকলে ওই সব সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। সাঁকোর পরিবর্তে ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, আগে উপজেলার প্রতিটি গ্রামগঞ্জে ১২ মাসের মধ্যে ৬ মাস পানিবন্দী থাকতো মানুষ। ছোট-বড় নদী-নালা ও খাল-বিলে নৌকা বা সাঁকো দিয়ে মানুষ চলাচল করতো। যে স্থানে সাঁকো ছিল না, সেখান দিয়ে হরেক রকমের নৌকা ব্যবহার হতো। এভাবেই চলতো মানুষের জীবন-যাপন। মাথায় অথবা নৌকায় করে কৃষি পণ্য হাট-বাজারে নিয়ে যেত। কোথাও তেমন কোন যানবাহন ছিল না ।
এর মধ্যে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কাকিলাখোলা গ্রামের মাটিদহ খালের উপর ও রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া-রামকান্তপুর গ্রামের মাঠের মাঝখানেসহ উপজেলার ৪/৫ জায়গায় বাঁশের সাঁকো রয়েছে। ওই সব জায়গায় সাঁকোর পরিবর্তে ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী বলেন, জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্পর্শে সালথা-নগরকান্দায় ব্যাপক উন্নয়ণ হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বাকীগুলোতে ব্রীজ হয়ে যাবে। তবে কাকিলাখোলা-গৌড়দিয়া খালের উপর ব্রীজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত ইসলাম বলেন, যেসব জায়গায় বাঁশের সাঁকো রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সেসব স্থানে ব্রীজ নির্মাণ হবে।