আগামী দিনে তোমরা এই দেশকে এগিয়ে নিতে, পার জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসাবে …
নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ছাত্রলীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “আগামীকাল সাবজেক্ট কমিটি বসবে। সেখানে কারা কারা নেতৃত্ব চায় ইতোমধ্যে দরখাস্ত পাঠিয়েছে। আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের নেতৃত্ব নিয়ে আস।
“তোমরা নিজেরা বসে… স্যাক্রিফাইস করাটা শিখতে হবে। যে কোনো ব্যাপারে স্যাক্রিফাইস না করলে কিন্তু অর্জন করা যায় না। অর্জন তখনই করতে পারবা, যখন কিছু দিতে পারবা। কাজেই তোমরা সমঝোতার মাধ্যমে কর, সেটাই আমরা চাই।”
এবার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়সসীমা ২৮ বছর করার কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ছাত্রলীগের নেতৃত্বের বয়স আমরা ২৭ বছর করে দিয়েছিলাম। যদিও দুই বছর মেয়াদি এই কমিটির মেয়াদ নয় মাস বেশি হয়ে গেছে। আমি চাই না, এই নয় মাস বেশি হয়েছে বলে কেউ বঞ্চিত হোক। তাই আমরা এক বছর গ্রেস দিতে পারি। কাজেই ২৮ বছরের মধ্যে যারা তারাই হবে…।”
আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে নেতৃত্বের বয়স অনূর্ধ্ব ২৭ বছর নির্ধারিত হলেও সেশনজট ও সম্মেলন নির্ধারিত সময়ের পরে হওয়ায় বয়স দুই বছর করে বেশি ধরা হয়েছে গত দুই কাউন্সিলে।
এবার তা না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় শেখ হাসিনা বলেন, “কারণ এখন কোনো সেশন জট নাই। ২৩ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি পাস হয়ে যায়। এরপর ডাবল মাস্টার্সও করা যায়, তারপরও যথেষ্ট বয়স থাকে। আমি চাই, তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে, যারা সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে তোমাদের এই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পারে, যাতে আগামী দিনে তোমরা এই দেশকে এগিয়ে নিতে পার জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসাবে।”