রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার হলদীবাড়ি বাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ভ্যান চালক মোঃ রুহুল আমিন (৩৬) ক্লু লেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুর জেলা। গত ১৫ জুলাই (রবিবার) পার্বতীপুর থানার দূর্গাপুর এলাকা থেকে নাজমুল ইসলামের ছেলে রুকু পারভেজ(২০) কে গ্রেফতার পূর্বক তার নিকট থেকে ভিকটিমের মোবাইল সেট ও সীম উদ্বার করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামী দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার দুর্গাপুর পুর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ এর পুত্র মোঃ রেজওয়ান(১৯) কে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
উভয় আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে তথ্য প্রদান করেছে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘটনাস্থলের কার্লভার্টের নীচ থেকে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত টিউবওয়ের লোহার হ্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে খলিলুর রহমান বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ০৬, তাং ০৯/৬/২০১৮ ইং ধারা: ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ভিকটিম ভ্যান চালক রুহুল আমিন গত ৭ জুন বিকালে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে বাড়ীতে না ফিরলে ভিকটিমে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোজ খরব নেন। খোজাখুজির এক পর্যায়ে গত ০৮ জুন সকাল বেলা বদরগঞ্জ থানাধীন বিষ্ণুপুর বকশিগঞ্জ ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন অবসর নামক স্থানে কালভার্টের নিচ থেকে ভিকটিম রুহুল আমীনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকরে পরে পিবিআই রংপুর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার,পিপিএম-সেবা, মহোদয়ের নির্দেশে ও তদারকীতে তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর সামিউল আলম এর নেতৃত্বে তদন্তটিম গঠন পূর্বক জোরালো ভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার,পিপিএম-সেবা, জানান, আসামীদের নিকট ভিকটিম রুহুল আমীন বেশ কিছু টাকা পেত। কিন্তু সে টাকা পরিশোধ না করা এবং ভিকটিমের নিকট গচ্ছিত আরো টাকা নেওয়ার জন্য ভ্যান সহ ব্যাটারী নেওয়ার জন্য পূর্ব থেকে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ইং ০৭/৬/২০১৮ তাং মোবাইলের ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে এসে পরবর্তীতে স্থানীয় বাজারের লোহার টিউবওয়েল হ্যান্ডেল কিনে ঘটনাস্থলে আসামীগণ ভিকটিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মৃত দেহটি ব্রীজের নীচে ফেলে দেয়। ক্লু লেস মামলার তথ্য উদ্ঘাটন ও আসামী গ্রেফতার হওয়ায় স্থানীয় জনমতে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক সামিউল আলম জানান, পলাতক অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যহত আছে।