ভাবছিলাম বান্দের কাম শুরু হইবো তাই বাড়ী সরাই নাই, চরভদ্রাসনে অব্যাহত নদী ভাঙ্গন

এ এস কাজল বিশেষ প্রতিনিধি : ভাবছিলাম বান্দের কাম শুরু হইবো তাই বাড়ী সরাই নাই। জীবন ঝুকি নিয়াই পুলাপান নিয়া নদী পারে ছিলাম। এহন আর উপায় নাই কারন পদ্মায় শেষ ভিটাটাও নিয়া যাইতেছে। বসত বাড়ী সরাতে ব্যাস্ত বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের আক্কাস মন্ডল এভাবেই বললেন কথা গুলো।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী ভাঙ্গার মাথা হতে ফাজেল খার ডাঙ্গী,বড় বালিয়া ডাঙ্গী হয়ে হাজি ডাঙ্গীর শামচু শেখের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিমি: জায়গা জুড়ে চলছে নদী ভাঙ্গন। গত শনিবার হতে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে প্রচন্ড শ্রোত প্রবাহিত থাকায় এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়। গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে প্রায় পনের একর ফসলী জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভিটে ছাড়া হয়েছে ৯ টি পরিবার।

ফাজেল খার ডাঙ্গী গ্রামের সিরাজ মন্ডল জানান হঠাৎ হঠাৎ করেই ভাঙ্গতে থাকে নদী এক স্থানে ১৫/২০ মিনিট ভাঙ্গে তারপর থেমে যায়।এর পরই অন্য জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়। গত দুই দিন ধরে ভাঙ্গনের পরিমান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার সকালে বড় বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বেড়ী বাধ সংলগ্ন ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখা যায় একদিকে ভাঙ্গছে পদ্মা, অন্যদিকে বসতবাড়ী সড়িয়ে নিচ্ছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

এসময় দেখা যায় কাসেম মন্ডল,কাউছার মন্ডল,আফরোজা বেগম,পান্নু মন্ডল,হারুন মোল্যার ও বসত ভিটা সড়িয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বারেক মন্ডল বলেন পদ্মা নদী সংলগ্ন তিন কিমি: জায়গার মধ্যে এমপি ডাঙ্গী,ফাজেল খার ডাঙ্গী,বালিয়া ডাঙ্গীর দুটি স্থান সবথেকে ঝুকিপূর্ন।এমপি ডাঙ্গী বস্তা ফেলে সাময়ীক ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ চলছে। একই ভাবে অপর তিনটি স্থানে ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে কিছুটা হলেও ভাঙ্গন রোধ করা যেত। তবে ভাঙ্গনাক্রান্ত লোকগুলোর পাশেও দাড়ানো প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার বলেন এমপি ডাঙ্গীর পাশাপাশি ফাজেল খার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের সংযোগ স্থান এবং বড় বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাধের মাথায় কিছু ডাম্পিং খুবই জরুরী। আমি পাউবির সাথে কথা বলেছি দেখি কিছু হয় কিনা। আর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে তাদেরকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

ফাজেল খার ডাঙ্গী,বড় বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙ্গন ভাঙন প্রতিরোধ ও ডাম্পিং এর বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহামুদ বলেন আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। প্রকল্প এলাকার বাইরে কাজ করার বিধান নেই। আগামীকাল আমরা ফাজেল খার ডাঙ্গী,বড় বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙ্গন এলাকা দেখতে যাব।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments