ফরিদপুর প্রতিনিধি : সরকারী পুরাতন ভবন বিক্রয়ে অনিয়মের খবর ফেসবুক প্রকাশ করার অভিযোগে ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে এক সাংবাদিককে নাজেহালের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক ফরিদপুর কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার,সাপ্তাহিক সময়ের ভাবনার সাবেক সহযোগী সম্পাদক ও বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের একাংশের প্রচার সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেনকে নাজেহালের অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত ২৩ মে দুপুরে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন তার কার্যালয়ে আদালত বসিয়ে সাংবাদিক জাকির হোসেনকে ফেসবুকে ভুল তথ্য পরিবেশনের দায়ে গ্রেফতার করেন পরে স্থানীয় কয়েকজনের অনুরোধে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেন।
জানাযায়,সম্প্রতি উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামস্থ সবুজ বাংলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবন নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছাড়াই মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রয় করেদেন সংশ্লিষ্ট নিলাম কমিটি। এলাকাবাসীর দাবী ভবনটির আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই-আড়াই লাখ টাকা। সাংবাদিক জাকির এ সংক্রান্ত একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন নিজের ফেসবুক আইডিতে। পোষ্টটি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে নিলাম কমিটির সভাপতি,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিক জাকির হোসেন কে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মুখোমুখি করেন। সেখানে বিচারক জাকির হোসেন নিলাম বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ ও প্রচারের বিষয় এড়িয়ে গিয়ে উল্টো সাংবাদিক জাকিরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে উত্তপ্ত ভাষায় ভৎসনা করেন এবং পরে মূচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন বলে জানান ঐ সাংবাদিক । তিনি আরও বলেন,আমি কোন মহল বা কারো ব্যাক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। সংবাদের বিষয়ে আটকাতে না পেড়ে আমার বিরুদ্ধে সাজানো চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন,
আটক জাকিরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখানো এবং ফেসবুকে ভিত্তিহীন স্ট্যাটাস দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরেই এ জাতীয় কর্মকাণ্ড করে আসছে।
আটককৃত সাংবাদিক নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত মুচলেকা দেয় এবং বিভিন্ন লোকের সুপারিশের কারণে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।