রাজিউল হাসান পলাশ: ঢাকার ধামরাইয়ে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন প্রিয়াংকা পাল (২৫), তিনি সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রিয়াংকা পাল রবিবার (০১ জুলাই) দুপুরে তার কর্মস্থলে নিজের প্রেমিক তন্মময়ের পরিবারের সদস্যদের ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লিখেন, আমার আত্মহত্যার জন্য এরা দায়ী। ধামরাই পৌরসভার উত্তর পাঠানটোলার প্রল্লাদ পালের মেয়ে প্রিয়াংকা পাল।
ফেসবুকের এই স্ট্যাটাস দেখার পর পরিচিতদের মধ্যে অনেকেই প্রিয়াংকার বাসায় ফোন করেন। এরপর প্রিয়াংকার কর্মস্থলে যোগাযোগ করেন প্রিয়াংকার পরিবার। ধামরাই উপজেলার কালামপুরে অবস্থিত এনজিও প্রতিষ্ঠান সজাগ এর সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রিয়াংকা। সবাই দ্রুত সজাগে পৌছুলেও তাকে বাচাঁনো যায়নি, সজাগের অফিসের একটি কক্ষ থেকে প্রিয়াংকার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রিয়াংকার বন্ধু বান্ধবীরা জানায় প্রিয়াংকা-তন্ময় তথাকথিত প্রেমিকযুগল। দীর্ঘ আট বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। স্বপ্ন তাদের বিয়ে করে সংসার করবে। কিন্তু তন্ময়ের পরিবার অসম্মতি জানায়, পরিবার অসম্মতিতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় তন্ময় এবং বেশ কিছুদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে প্রিয়াংকার সাথে। কিন্তু এতে প্রবল ভাবে ভেঙ্গে পড়েন প্রিয়াংকা। তার ফলশ্রুতিতেই হয়ত আজ আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন প্রিয়াংকা।
নিহত প্রিয়াংকার ছোট ভাই আশুতোশ পাল এটাকে আত্মহত্যা বলছেন না বলছেন অপহত্যা।মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে নিজের প্রেমিক তন্ময়ের ঠিকানা লিখে গেছেন প্রিয়াংকা। স্ট্যাটাস এর পর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রিয়াংকার ও তার প্রেমিকের ফেসবুক আইডি রহস্যজনকভাবে ডিএক্টিভেট হয়ে যায়, ধারণা করা হচ্ছে তন্ময়ের কাছে প্রিয়াংকার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ছিল। সেই প্রিয়াংকা’র ও নিজের ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করেছে।
ধামরাই থানার ওসি রিজাউল হক জানান, আমরা অপমৃত্যুর আলামত পেয়েছি। মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করলেও পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা করবে।