মনির মোল্যা : অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। যিনি আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী একজন নেতা। ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে গড়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ছিলেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর একান্ত সহকারী (এপিএস) পদে। বর্তমানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে রয়েছেন। তাছাড়া নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন। আওয়ামী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসাবে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে তাকে নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে।
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা-কৃষ্ণপুর) আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসাবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এলাকার সাধারন মানুষের সুখ-দুঃখ, বিপদ-আপদে এগিয়ে গিয়েছেন সব সময়। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই জামাল হোসেন মিয়া বিশাল কর্মী বাহিনী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে তিনি দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রবীন নেতা, দলের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কারনে তিনি মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পেয়েও দলকে ভালোবেসে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
নৌকাকে জেতাতে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন তিনি। নৌকায় ভোট চেয়ে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এলাকায় লিফলেট বিতরন করা হচ্ছে জামাল হোসেনের পক্ষ থেকে। সেই লিফলেটে জামাল হোসেন মিয়া আবেগঘন কথা বলে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। আবেগঘন সে বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেছেন, আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন আমাকে শিখিয়েছে নগরকান্দা-সালথা-কৃষ্ণপুর এলাকার প্রতিটি গ্রামই আমার গ্রাম। আমার অস্থিত্বের শিকড়। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি ফরিদপুর-২ আসনের জনগনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে তাদের সমস্যা ও সম্ভবনার কথা শোনার।
বিভিন্ন প্রয়োজনে জনগনের পাশে থেকে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সাধ্যমতো কাজ করার। কেননা আপনাদের হাসি মুখ আমার জীবনকে অর্থবহ কর তোলে। তাই বার বার শিকড়ের টানে, মায়ার বাঁধনে আপনাদের কাছে ছুটে গিয়েছি কারো ছেলে হিসাবে, ভাই, বন্ধু কিংবা প্রিয়জন হিসাবে।
ফরিদপুর-২ আসনের ভাগ্য বঞ্চিত ও নির্যাতিত জনগনের ভাগ্যেউন্নয়ন ও অশান্ত নগরকান্দা-সালথার আপামর জনগনকে সাথে নিয়ে যে শান্তির সুবাতাস আমি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি হয়তো সেটাই আমার অপরাধ। ভাগ্যেও নির্মম পরিহাস, বার বার আমাকে মিথ্যা অভিযোগে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন এর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের মতো হাজারো জনগনের নিঃস্বার্থ ও অফুরন্ত ভালোবাসায় আমাকে মিথ্যা অভিযোগ স্পর্শ করতে পারেনি আর কোনদিন পারবেও না ইনশাল্লাহ। ফরিদপুর-২ আসনের অধিকাংশ মানুষ যারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন, অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে আমার পাশে ছিলেন, আছেন এবং আপনাদের প্রতিনিধি হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি-একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নৌকার বিজয়ে কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ। মনে রাখবেন নৌকার বিজয় মানে শান্তি ও উন্নতির বিজয়। নৌকার বিজয় মানে মুক্তি, অগ্রগতি, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও সমৃদ্ধির বিজয়। নৌকার বিজয় মানে জাতির জনকের স্বপ্নপূরন, নৌকার বিজয় মানে শেখ হাসিনার বিজয়, নৌকার বিজয় মানে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তির বিজয়। তাই নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।