কাঠমান্ডূ, ২১ সেপ্টেম্বর – নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডূতে শুক্রবার পিছিয়ে পড়া নারী এবং তরুন গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় অভিযোজনে বিকল্প কৃষি প্রক্রিয়া বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জার্মান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড-সিম এর অর্থনৈতিক সহায়তায় ইউরোপ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বাসুগ এবং নেপালি উন্নয়ন সংস্থা সল্ভ নেপাল এই কর্মশালার আয়োজন করে। সল্ভ নেপাল এর সভাপতি নারায়ণ জোশির সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন নেপালের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ডঃ কে পি অলি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালে সিম এর জাতীয় প্রতিনিধি পাজমা দহল এবং বাসুগ সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া।
সল্ভ নেপাল সদস্য সোহান শ্রেষ্ঠ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাকাল পৌরসভার চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাহাল, বাগ্মাতি পৌরসভার চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর লাপচান, নেপালের বন ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এঞ্জিলা মিশ্র মাহারজান, বাগ্মাতি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জনা ঘিমিরে এবং মহাকাল পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কমলা তানাঙ্গে।
সল্ভ নেপাল এর নির্বাহী পরিচালক রাজেন্দ্র বাহাদুর প্রধান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাসুগ এর ইইউকে প্রতিনিধি আনসার আহমেদ উল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিম এর নেপাল প্রতিনিধি পাজমা দাহাল, বাসুগ জার্মানির প্রকল্প সমন্বয়কারী এএইচএম আব্দুল হাই, সল্ভ নেপাল এর পরামর্শক সুদিল গোপাল আচারিয়া এবং পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিক নিমেশ রেগ্মি। আইওএফ এর ডিন ডঃ কৃষ্ণ তিওয়ারির সঞ্চালনায় কর্মশালার কারিগরি অধিবেশনে নেপালে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং নারীগোষ্ঠীর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ডঃ নেত্র প্রসাদ তিমসিনা এবং বাসনা সাপকোটা। প্রকল্পের আওতায় নেপালের পিছিয়ে পড়া নারীগোষ্ঠীর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং অভিযোজন বিষয়ে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সুদিল গোপাল আচারিয়া। একই বিষয়ের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হয় কর্মশালায়।
কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল নেপালের সুবিধাবঞ্চিত নারী ও যুবগোষ্ঠী, পরিবেশ বিষয়ক নীতি-নির্ধারক, পরিবেশ কর্মী এবং স্থানীয় উন্নয়ন কর্মীদের মাঝে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিশ্চয়তা বিধানের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি। এছাড়া অভিবাসী জনগোষ্ঠী নিজ নিজ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কিভাবে উন্নয়ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে সেসব বিষয়েও উদবুদ্ধকরণ ছিল এই কর্মশালার অন্যতম লক্ষ্য। কাঠমান্ডূ কর্মশালা ছাড়াও একই বিষয়ে লক্ষিত জনগোষ্ঠীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ললিতপুর এবং কাঠমান্ডূতে দুটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। এছাড়া নেপালি অভিবাসীদের নিয়ে জার্মানির রাজধানী বার্লিন নগরীতে আগামী বছর আরেকটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।