রাজিউল হাসান পলাশ : ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে ১৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এই আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ক্রয় করে আলোচনায় রয়েছে ভাতৃত্রয়, এরা হলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বায়রার সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহম্মদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সোহরাব হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ এনামুল হক আইয়ুব হোসেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে প্রথম সারির প্রতিদ্বন্দী হিসেবে আছেন বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মালেক, এছাড়াও মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দুই বারের সিআইপি কার্ডপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাক্তার মোখলেছ উজ জামান হিরু ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মেঘনা ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলিম খান সেলিম, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গোলাম কবির মোল্লা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান মিজান , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেন সাকু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আশিষ কুমার মজুমদার ,আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ আলী ও বাংলাদেশ এ্যগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েন্স ইম্পোর্টার এ্যান্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের সহসভাপতি সুধীর চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর আলহাজ্ব সাহেব আলী, অভিনেতা সোহেল খান।
এদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান এমপি আলহাজ্ব এম এ মালেক ও সাবেক এমপি ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও বায়রার সভাপতি বেনজীর আহম্মদ। এরা দুজনেই মনোনয়নের ব্যাপারে সমানভাবে আশাবাদী। দুজনের কর্মীরা প্রতিনিয়ত প্রচার করে চলছে নিজেদের সমর্থনকারীর নাম। দিনের এ প্রান্তে একজনের নাম ওঠে আসলে দিনের শেষ বেলায় আরেকজনের সমর্থকগন তাদের প্রত্যাশা পূরণের প্রচার করে চলছে এতে জনগণ বিভ্রান্তিকর অবস্থার স্বীকার হচ্ছে এবং দলীয় কোন্দল বাড়ছে।
বেনজীর আহম্মদ এর সমর্থনকারীরা বলছেন ২০০৮ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এমপি হয়েছেন তিনি ধামরাই এর দক্ষিন থেকে উত্তর প্রান্ত সকল ইউনিয়নে বেনজীর আহম্মদের উন্নয়নের ছোয়া রয়েছে, বেনজীর ভাই সিলেকশনের এমপি না ইলেকশনের এমপি তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যাক্তি তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী।
বর্তমান এমপি এম এ মালেকের সমর্থকরা বলেন মালেক ভাই এমপি হিসেবে গত পাচঁ বছর ধরে গরীব দুখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছেন, ধামরাই উপজেলায় বহু রাস্তা ও সেতু নির্মান করেছেন। অনেকের আইনী ঝামেলা নির্মুল করেছেন, ধামরাইকে মাদকমুক্ত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মালেক ভাই কোথাও থেকে কোন চাদাবাজি করেননি এবং করাননি, তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করার চেষ্টা করে চলেছেন নেত্রী তাকে অনেক পছন্দ করেন তাই মালেক ভাই ই মনোনয়ন পাবেন।
এছাড়া বিএনপি থেকে ৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ,উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ তমিজ উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ ও ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী।
জাতীয় পার্টি(এরশাদ) থেকে মনোয়নপত্র ক্রয় করেছেন দুইবারের সাবেক এমপি ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শিল্পপতি খান মুহাম্মদ ইস্রাফিল খোকন, কেন্দ্রীয় যুবসংহতির নেতা দেলোয়ার হোসেন খান মিলন ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মালেক।