রাজিউল হাসান পলাশ: হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে এ বছর ধামরাই উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৯৩ টি পুজা মণ্ডপে পুরোদমে চলছে প্রতিমা ও পূজামণ্ডপ তৈরির সর্বশেষ প্রস্তুতি। এর মধ্যে ৪৩ টি পূজা মন্ডপ পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। কারিগরেরা দম ফেলার সময় পাচ্ছে না। আজ ১৪ অক্টোবর রবিবার মহা পঞ্চমী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব এবং ১৯ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বিজয়া দশমী। ৬ দিনব্যপী চলবে এ দুর্গোৎসব।
এই উপলক্ষে উপজেলায় পূজা মন্দিরে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ধামরাই পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু অজিত চক্রবর্তী সময় নিউজকে বলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসবটি জাকজমকভাবে উদযাপন করা হবে। ধামরাই পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু নন্দু গোপাল বলেন, এ বছর দেবী ঘোটকে চড়ে আগমণ করবেন ও দোলায় চড়ে গমন করবেন।
ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, কয়েকটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ প্রান্তে চলে এসেছে। কোন কোন মন্ডপে রং তুলির কাজ শুরু করে দিয়েছেন তুলি শিল্পিরা। অনেক মন্ডপে আবার প্যান্ডেল তৈরী করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দূর্গোৎসবকে ঘিরে উপজেলায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। জানা যায়, প্রশাসনের উদ্যোগে শান্তি শৃংখলা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দূর্গাপূজা পালন করার জন্য গঠন করা হয়েছে পূজা মনিটরিং সেল, মন্ডপে মন্ডপে সুষ্ঠ পরিবেশের জন্য আয়োজকদের নিজস্ব সেচ্ছাসেবক দল সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা জানান, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ধামরাই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূজা চলাকালীন দর্শণার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন পূজা মণ্ডপসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে বিশেষ নজরদারী রাখবে, এছাড়াও অসংখ্য গ্রামপুলিশ নিয়োজিত থাকবে পূজা মন্ডপগুলোতে।
ধামরাই পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবীর মোল্লা বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কায়েত পাড়ার বড় মন্দির ও মাধববাড়ীর ঘাট সংস্কার করে সেখানকার লাইটিংসহ ডেকারেশনের কাজ করছে পৌরসভার স্টাফরা। এছাড়াও সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রকার সহযোগিতা করবে। সব মিলিয়ে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।