রাজিউল হাসান পলাশ : আমার বইনেরে ক্ষত বিক্ষত ও অচেতন অবস্থায় পায়ছি ওর যখন জ্ঞান ফিরে ও ভীত সন্ত্রস্ত, ভয় ওর মনে বাসা বাধছে এমন করুন পরিনতি বাংলাদেশের কোন বইনের যেন না হয়, ধর্ষক দেবাশীষরা যেন এ সমাজে ঠায় না পায়, কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলি বলছিলেন ধর্ষিতার বড় বোন রাবেয়া। ঢাকার ধামরাইয়ে পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ইয়াবা খাইয়ে রাতভর ধর্ষন করে ধামরাইয়ের গাইরাকুল গ্রামের মৃত অধির চৌধুরীর ছেলে দেবাশীষ চৌধুরী। ঘটনাটি ঘটে গত ৩ জুলাই দিবাগত রাত্রে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ভিকটিমের মা অসুস্থ্য থাকায় বড় বোন রাবেয়া তার মাকে নিয়ে হাসপাতালে যায় এবং তার বোন (ভিকটিমকে) ও তার বান্ধবী রীমাকে তার বাসায় রেখে যায়।
(২নং আসামী) বড় বোনের বান্ধবী রীমা ভিকটিমকে নিয়ে মামলার প্রধান আসামী দেবাশীষ চৌধুরীর মালিকানাধীন আইঙ্গন গ্রামের অর্নব এন্টারপ্রাইজ নামক কুড়ার মিলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ভিকটিমকে ইয়াবা সেবন করিয়ে সারারাত ধরে একাধিক বার ধর্ষন করে সকাল ৭ টার দিকে ভিকটিমকে তার বোনের বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ভিকটিমকে প্রথমে এনাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন রাবেয়া বাদি হয়ে ধামরাই থানায় ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০ ধারায় একটি মামলা করেন, মামলা নং ০৮(০৭)১৮। এতে দেবাশীষ চৌধুরীকে প্রধান ও ১ নং আসামী ও রীমা আক্তারকে ২ নং আসামী করা হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরই আসামী রীমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ, কিন্তু প্রধান আসামী পলাতক ছিল।
গত ১৯/০৭/২০১৮ ইং তারিখে আসামী দেবাশীষ চৌধুরী বিকাল ৫ঃ৩০ এর দিকে ধামরাই বড় বাজার তার নিজ বাড়িতে বোরকা পড়ে ছদ্মবেশে ঢোকে এসময় পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ধরার চেষ্টা করে আসামি বাড়ির ছাদে উঠে পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায় কিন্তু তার সাথে আসা তার সহযোগিকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতারকৃত সহযোগীর কাছ থেকে তথ্য বের করে রাত ৩ঃ৩০ এর দিকে পুলিশ মানিকগঞ্জের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। অভিযানটি পরিচালনা করেন ধামরাই থানার এস আই কামাল হোসেন। আদালতে ৫ দিন এর রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিন এর রিমান্ড মন্জুর করে। আসামী দেবাশীষ চৌধুরী এর আগেও একাধিকবার অপহরণ ও মাদক অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় বিভিন্ন মামলায় জামিনে ছিলেন। ধর্ষিতার পরিবার ধর্ষক দেবাশীষের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।