রাজিউল হাসান পলাশ :
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়
কেউ বলেনা তোমার মত
কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়
বাবা কত রাত কত রাত দেখিনা তোমায়
কেউ বলে না মানিক কোথায় আমার
ওরে বুকে আয়…
টিভি সেটে চলছিল গানটি, অসাধারণ কন্ঠে গানটি শুনে টিভি সেটের সামনে বসে জানতে পারলাম ওপার বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সারেগামাপা চলছে গানটি গাইছেন বাংলাদেশের ঢাকার একটি ছেলে যার নাম মাইনুল আহসান নোবেল। গীতিকার প্রিন্স মাহমুদের লেখা জেমসের এই বাংলা গানের কথা গুলি যদি কেউ এমনিতেও পড়ে মনটা আবেগঘন হয়ে যায় সেখানে এই ছেলেটির চমৎকার কন্ঠে গানটি শুনতে শুনতে চোখের কোণে জ্বল এসে গিয়েছিল।
নোবেল ছোটবেলা থেকেই গান চর্চা করেন তিনি এর আগেও একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন যেটি বাংলাদেশে বাংলালিংক কোম্পানি আয়োজন করেছিল। বাংলালিংক নেক্সটিউবার” রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে সে চলে আসে মানুষের আলোচনায়। সেই শো ছিল তার গানের জীবনের একটি অন্যতম অধ্যায়।
গানের প্রতি তার ভালবাসা তাকে আজকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভীন দেশেও জনপ্রিয় করে তুলেছে, আজকাল কলকাতার বিভিন্ন সড়কের পাশে তার বিলবোর্ড দেখা যায়। সারেগামাপার গ্র্যান্ড অডিশনে নোবেল মাতিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গকে৷ নোবেলের এই উত্থান অলৌকিক নয়, গানের প্রতি অসম্ভব ভালবাসা ও পরিশ্রমেরই ফল।
নোবেলের সাথে মেসেঞ্জারে কথা বলে জানতে পারি গান নিয়ে তার চিন্তাধারা তার ভবিষ্যৎ ইচ্ছা। নোবেল সময় নিউজকে জানায়, গানের প্রতি নোবেলের আগ্রহ জেগে উঠে তার নিজ দেশের শিল্পীদের সেরা সেরা গান শুনেই, “আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এর গান ক্যাসেট প্লেয়ারের আমল থেকে শুনতেন তিনি। “তার বাবা শিল্পী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু হতে পারেননি তাই সন্তান হিসেবে তিনি বাবার সেই স্বপ্নটাকে এখন নিজের স্বপ্নই বানিয়ে নিয়েছেন।” নোবেল স্বপ্ন দেখেন, তিনি একদিন আরো বড় শিল্পী হবেন। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন। গানটাই এখন তার নিজের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি স্বপ্ন দেখেন জেমস, আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে এক মঞ্চে গান গাইবেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছেন তিনি। তার ইউটিউবে নোবেল ম্যান নামে একটি চ্যানেল আছে। ব্যান্ড নিয়ে মৌলিক গান বের করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে সামনের পথে চলছেন তিনি৷ মানুষের ভালবাসায় মুগ্ধ তিনি, এই ভালবাসায় ছায়ায় থাকতে চান তিনি। তাই দোয়া চেয়েছেন বাংলাদেশের সকল দর্শকশ্রোতাদের কাছে।