জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (ইংরেজি শাখা)’র আবশ্যকীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ‘ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ড’ কর্তৃক প্রদত্ত ০২ (দুই) কোটি টাকার ঋণের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কনস্যুলেটের মিডিয়া সেন্টারে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের কাছে চেক তুলে দেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদুত গোলাম মসীহ।
এসময় রাস্ট্রদুত স্কুল সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছভাবে চালানোর জন্য পরিচালনা পরিষদকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। অনুদানের এই টাকার ব্যয় স্বচ্ছ থাকতে হবে। পরিচালনা পর্ষদের পাশাপাশি স্কুলের অভিবাবকদেরকেও এদিকে নজর রাখতে হবে। প্রতিমাসে স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব অভিবাবকদের কাছে উপস্থাপনের জন্য পরিচালনা পর্ষদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
প্রাইভেট টিউশনি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রাস্ট্রদুত বলেন, যেকোন মুল্যে বাসায় বাসায় টিউশনি বন্ধ করতে হবে এটা একদিকে যেমন ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষতি করছে অন্যদিকে এটা সম্পুর্ণ অবৈধ ও বেআইনি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাস্ট্রদুত গোলাম মসীহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশের স্কুলগুলোর ব্যাপারে সবসময়ই আন্তরিক আর সেই আন্তরিকতার কারণেই স্কুলকে বাচাতে সৌদি আরবে ৯টি বাংলাদেশি স্কুলের উন্নয়নকল্পে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে বিনা সুদে ১০ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করেছেন। স্কুলে একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী খুব শীঘ্রই আরেকটি অনুদান দিবেন।
কনসাল কে এম সালাহউদ্দিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন এর সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাস্ট্রদুত গোলাম মসীহ।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কাউন্সেলর আলতাফ হোসেন, কাউন্সেলর মুজিবুর রহমান, প্রথম সচিব, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, ভাইস কনসাল মোস্তফা জামিল খান, কনস্যুলেটের কর্মকর্তা/কর্মচারি, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ- অধ্যক্ষ, জেদ্দায় বসবাসরত বিভিন্ন স্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।