বিশেষ প্রতিবেদক: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ৫২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৮ টিতে স্লিপের টাকায় নিম্নমানের ড্রামসেট সরবরাহের ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে জড়িত রয়েছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন কুমার শাহা।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্কুলে দেখা যায় বাঁশের ফ্রেমে চামড়ার ছাউনি ও পলাস্টিকের রশি দিয়ে তেরী করা ড্রাম সেট সরবরাহ করা হয়েছে। কোন কোন স্কুলে এর সাথে ব্যবহারের কাঠিও দেওয়া হয়নি। এর মূল্য নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার টাকা। স্লীপে এর মূল্য ধরা হয়েছে ৪ হাজার টাকা।এ সম্পর্কে উল্লেখিত ড্রামসেট ব্যাবসা করে এমন দুই ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় এরুপ দুটি ড্রামে চার টুকরো চামড়া ৮ শত টাকা,৪টি বাশের চাক ২শত টাকা,দু টুকরো প্লেন সিট ৫শত টাকা,৫০ টাকার রশি ও মুজুরী দিয়ে ২ হাজার ২ শত টাকা খরচ পরে। সে হিসেবে ৪৮ টি সেটে ৪৮ হাজার ৪ শত টাকা বেশী ধরা হয়েছে।
তবে ব্যতিক্রম ঘটেছে দক্ষিন চরসুলতানপুর,এসপি ডাঙ্গী,হরিরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিএস ডাঙ্গী স: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারা উন্নত মানের বাজারে চলমান ড্রাম সেট ক্রয় করেছেন। যার মূল্য পরেছে ৩ হাজার পাঁচশত টাকা।
এ ব্যাপারে যাদের সাথেই কথা হয়েছে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন সুজন স্যার দিতে চেয়েছে আমরা নিষেধ করতে পারিনি। ড্রাম সেটের নি¤œমান সম্পর্কেও তারা কোন মন্তব্য করতে চায়নি। ড্রাম ক্রয়ের রশিদ দেখতে চাইলে তাদের কেউ দেখাতে পারেনি। তবে অনেকেই বলেছে স্যার সকলকে একটি দোকানের রশিদ দিয়ে বলেছে মূল্য আপনারা লিখে নিয়েন। এক শিক্ষক বলেন “ভাই তিনি হচ্ছেন আমাদের অফিসার তিনি একটি কথা বললে আমরা তো ফেলতে পারি না, তার হাতে আমাদের চাকরি থাকে।”
বিষয়টি নিয়ে ঐ সহকারী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে ড্রাম সেট সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন “আমি সরবরাহ করিনি। শিক্ষকরা আমাকে বলার পর আমি লোক দেখিয়ে দিয়েছি সে ড্রাম দিয়েছে।” কিন্তু শিক্ষকরা তার কথাই বলেছে বললে তিনি বলেন “ তারা আমার সামনে এসে বলুক। মিটিং এ আলোচনার পর এটা ক্রয় তাদের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে,তাই তারা ক্রয় করেছে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন একটি মিটিংএ শিক্ষকরা ড্রাম সরবারাহের ব্যপারে আলোচনা করলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন প্রস্তাব করে তার এক পরিচিত ঢুলি আছে। পরে শিক্ষকরা বললে সে ঐ ঢুলিকে অর্ডার দেয়। দাম যেমন জিনিসের মানতো সে রকমই হবে।