ষ্টাফ রিপোর্টার: গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় মাঠে গরু চড়াতে গেলে সাপে কাটে ফরহাদ মোল্যা(৩০) কে। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের সাহায্যে পদ্মা নদী পাড় হয়ে এক ওঝার কাছে এনে চিকিৎসা দেয়। একটু সুস্থ হবার পর বিষ নাই জেনে তারা ফরহাদকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। সারারাত ভালই ছিল ভোর তিনটার দিকে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যায় ফরহাদ। বুকে প্রচন্ড চাপ সহ স্বাসকষ্ট অনুভব করতে থাকে। ৪ টার দিকে সে মারা যায়। সুস্থ হবার সময়টুকুতে সে বলে ছিল গোল চক্কর চক্কর পাহড়ি সাপে তাকে কামড় দিয়েছে। এভাবেই বর্ননা দেন সদর ইউনিয়নের বাদুল্লাহ্ মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা ফরহাদের ভগ্নিপতি মানিক শেখ।
উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল আমীন বলেন সাপে কাটার পর ফরহাদের শরীরে যে উপসর্গ দেখা যায় তার সাথে চন্দ্রবোড়া সাপে কাটা রোগীর সাথে যথেষ্ট মিল ছিল। আমি সহ স্থানীয় দুই সাংবাদিক খুব চেষ্টা করেছিলাম ডাক্তারী চিকিৎসা দেওয়ার। কিন্তু তার পরিবারের কেউ রাজী হয়নি। সাপে কাটা রোগীর জন্য উপজেলা পরিষদ হতে লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু তা কোন কাজে আসলো না।
ফরহাদের বাড়ী ছিল সদর ইউনিয়নের গোপালপুর চরে। গত বছরও চন্দ্রবোড়ার কামড়ে চরভদ্রসনে তিন জনের মৃত্যু হয় এর মধ্যে উক্ত চরের একজন ছিল। স্থানীয় অনেকেই এখন গোপালপুর চরকে সাপের চর বলে অভিহিত করেন। বর্ষার পূর্বেই চরাঞ্চলে চন্দ্রবোড়া সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।