এই ভিডা টুক নিয়া গেলে তিনডা মাইয়্যা নিয়া যাওনের জায়গা নাই

এ এস কাজল ষ্টাফ রিপোর্টার: ফাজল খার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের সংযোগ স্থলের নদী হতে মাত্র ৫ মিটার দুরে হারুন মোল্যা(৪৭) এর ঘর। পাশেই একটি ছাপড়ার নীচে ঘুমিয়ে আছে সে। তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন(৩৮) বলেন ‘রাইতে ভাঙ্গনের পর আর ঘুমাইতে পারে নাই তাই ঘুমাইতেছে। আড বছরে চাইর বার বাড়ী ভাংছে। এই ভিডা টুক নিয়া গেলে তিনডা মাইয়্যা নিয়া যাওনের জায়গা নাই।’

আষাঢ়ের দশদিন অতিবাহিত হতে নাহতে ভাঙ্গনের কবলে পরেছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা। হতাশা আর আতংক নিয়ে দিন পার করছে নদী পাড়ের অসহায় মানুষগুলো। শনিবার রাত ১২টার পর হতাৎ করেই ফুসে উঠে প্রমত্বা পদ্মা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজল খার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের সংযোগ স্থলে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়। মাত্র ত্রিশ মিনিটের মধ্যে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায় দুই একর ফসলী জমি। নির্ঘুম রাত কাটে স্থানীয় বাসিন্দিাদের।

রবিবার সরেজমিনে ঝুকিপূর্ন চারটি স্থানের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই প্রতিদিনই কোন না কোনো স্থানে টুকটাক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তবে বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে তাৎক্ষনিক কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে যোকন মূহুর্তে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারনা।
রাজ মিস্ত্রী কুব্বাত(৩৫) বলেন ‘আধা ঘন্টায় যেমন ভাঙ্গছে, এমন কইরা যদি এক দুই ঘন্টা ভাঙ্গে তাইলে মোল্যা ডাঙ্গী স্কুল সহ সারা গ্রামের কেউ আর ঘরবাড়ী সরানোর সুযোগ পাবো না। কিছু বালীর বস্তা ফেললেও কিছুটা রক্ষা হইতো।’
বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের অপর স্থানের বাসিন্দা কাসেম মন্ডল বলেন শনিবার বিকেলে একটি বড় অংশ পদ্মায় বিলীন হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার বলেন ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। জেলা প্রশাসক মহাদয়কে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। আগামী কাল সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পরিদর্শনের জন্য লোক আসবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments