আজীবন তালমা ইউনিয়ন বাসীর সেবা করতে চান- দেলোয়ারা বেগম

 

মনির মোল্যা :     ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ৬নং তালমা ইউনিয়নের জনপ্রিয়, সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু শহীদ মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম বলেছেন মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তালমা ইউনিয়নের উন্নয়নে জন্য আজীবন কাজ করে যাব। তিনি আরো বলেন আমার স্বামীর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই হবে আমার প্রথম এবং প্রদান অঙ্গীকার।

তালমা ইউনিয়নের সবচে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবু শহীদ মিয়ার মৃত্যুর পর শূন্যস্থান পূরনে এগিয়ে এসেছেন দেলোয়ারা বেগম। রাত-দিন মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তিনি। তার দুই পুত্র কামাল হোসেন মিয়া ও জামাল হোসেন মিয়া বাবার আর্দশে অনুগত হয়ে জনগনের সেবায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।

আবু শহীদ মিয়ার মৃত্যুর পর তালমা ইউনিয়নবাসী অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়ান দেলোয়ারা বেগম। তখন থেকেই আবু শহীদ মিয়ার স্থানটি পূরন করতে তালমাবাসী চেয়ারম্যান পদে দেলোয়ারা বেগমকে দেখতে চান। স্থানীয়রা বলেছেন, আবু শহীদ মিয়া এলাকার মানুষের জন্য নিবেদিত একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবদান ছিল অসামান্য। তার এই অবদানের জন্য নগরকান্দাবাসীই নয়, সারাদেশবাসী তাকে স্মরন করে। তারা জানান, আবু শহীদ মিয়ার মৃত্যুর পর তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তার সহধর্মিনী দেলোয়ারা বেগমকে দেখতে চাই। এজন্য উপ-নির্বাচনে আমরা দেলোয়ারা বেগমকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে চাই। আর এজন্য আমরা অন্যকোন প্রার্থী দেখতে চাইনা। আমরা চাই আবু শহীদ মিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দেলোয়ারা বেগমকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করতে চাই।

আবু শহীদ মিয়ার সহধর্মিনী দেলোয়ারা বেগম তালমা ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, একদিন আমি তালমা ইউনিয়নে এসেছিলাম একজন গৃহবধু রুপে। সময়ের দীর্ঘ পরিক্রমায় সেই আমি আজ হয়ে উঠেছি আপনাদের কারো বোন, কারো চাচী, কারো বা মমতাময়ী খালা। ভালোবাসার অকৃত্রিম বন্ধনে আজও আমাকে বেঁধে রেখেছেন আপনারা। আমার ও আমার পরিবারের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার টান এতটাই গভীর যে, আমার কাছে কখনও মনে হয়নি আমি আপনাদের দুরের মানুষ। আমার কাছে সব সময় মনে হয়, এই ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পথ আমার চিরচেনা। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, এই তালমা ইউনিয়নের মাটিতেই যেন হয় আমার শেষ ঠিকানা। রাজনীতি কি? সমাজসেবা কি? তা আমি আমার মরহুম স্বামী আবু শহীদ মিয়ার কাছ থেকেই শিখেছি। তাঁরমধ্যে ছিল খুব সহজে মানুষকে আপন করে নেয়ার অদ্ভুত এক ক্ষমতা।

বাবার দেখানো পথে আমার সন্তানেরাও আজ তাদের পিতার মতো মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাওয়াই তাদের সবসময়ের ধ্যান-জ্ঞান ও চিন্তা চেতনা।

তিনি বলেন, আমার প্রয়াত স্বামীর শেষ উপদেশ গুলো মেনেই আমি আমার জীবনের পথটুকু চলতে চাই। শেষ করতে চাই তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো। এটাই আমার জীবনের স্বপ্ন ও সাধনা। আমার এই স্বপ্ন পূরনে আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগীতা আমার বড় বেশী প্রয়োজন। আশা করি আপনারা আমাকে সেই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে কার্পন্য করবেন না এটাই আমার বিশ্বাস।

অতীতে আমার প্রয়াত স্বামী যেমন সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিলো, আমিও ঠিক তেমনি করে আপনাদের পাশে থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে আজীবন কাজ করে যাবো-ইনশাল্লাহ।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments