
মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়েই সালথা থানার পরিদর্শক (ওসি) মো: বাবলুর রহমান খানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশের আগমণে স্বস্তি নেমে আসে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ঐ এলাকার মান্নান মাতুব্বরের সমর্থকদের সঙ্গে একই এলাকার নান্নু মেম্বারের সমর্থকরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য দেশীয় অস্ত্রসহ দু’গ্রুপ রাঙ্গারদিয়া স্কুলের পশ্চিম পাশের মাঠের দুই প্রান্তে জড়ো হয়। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে সালথা থানার (ওসি) মো: বাবলুর রহমান খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঘটনা স্থানে পুলিশ সঠিক সময়ে না পৌঁছালে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবণা ছিল বলে জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। সেই সঙ্গে এলাকার সাধারণ জনগণ বলেন, সঠিক সময়ে পুলিশের আগমণে এলাকার উত্তেজনায় স্বস্তি ফিরেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে মান্নান মাতুব্বরের দলের বালাম সরদার ও নান্নু মেম্বার বিলের পারে পেঁয়াজের জমিতে পানি দিতে গেলে মেশিনের সেটের মধ্যে ময়লা আর্বজনা দেওয়া কে কেন্দ্র করে একে অপরকে দোষারোপ করে তর্কে জড়িয়ে পড়ে, এরই রেশ ধরে দুপুরে নান্নু মেম্বারের সমর্থক মুক্তার মাতুব্বর (৭০) এর উপর হামলা করে মান্নান মাতুব্বরের সমর্থকরা, এর পরই দু-গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘটিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে যাওয়ার মুহূর্তে থানা পুলিশ এসে উভয় দলকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে সালথা থানার পরিদর্শক (ওসি) মো: বাবলুর রহমান খান বলেন, ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পাই যে সোনাপুরের রাঙ্গারদিয়া এলাকায় দু’গ্রুপ সংঘর্ষের জন্য দেশীয় অস্ত্র সহ জড়ো হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ভাবে আমিসহ থানার একটা টিম নিয়ে ঘটনা স্থানে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে এলাকার পরিবেশ ঠান্ডা করি। ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের যা যা করা দরকার পুলিশ তাই করবে।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
