মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
সবুজে ছেঁয়ে গেছে মাঠ। পাট কাটার পরেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়। এবছর উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। সার ও কীটনাশকের মুল্যে বেশি থাকায় বাড়ছে উৎপাদণ খরচ।
বর্ষা মৌসুমে এই উপজেলায় ১২ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে জানা যায়, পাট কাটার আগেই জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়ে থাকে। আবার পাট কাটার পরে ধানের চারা রোপন করছে। ধানের আবাদের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে ধানের গাছে মাঠ সবুজে ছেয়ে যাচ্ছে। তবে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় চিন্তিত চাষিরা। এতে ধান উৎপাদণে খরচ বেড়েছে।
উপজেলার ভাওায়াল ইউনিয়নের কৃষক আবু মোল্যা ও মিরাজ হেসেন বলেন, এবছর পাটের ফলন কম হলেও ধান চাষ করে পুষিয়ে নিতে চাই। পাটের মধ্যেদিয়ে বপনকৃত বীজ অতিবৃষ্টিতে কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সেসব জমিতে পাট কাটার পরে চারা রোপন করেছি। সার- কীটনাশক ও ডিজেলের দাম না কমায় উৎপাদণ খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে মাঠে ধান গাছ খুব ভালো আছে। এবার ধান ভালো হবে বলে আশা করছি।
রামকান্তপুর ইউনিয়নের কৃষক ছিদ্দিক মোল্যা ও যদুনন্দী ইউনিয়নের কৃষক লিপন শেখ বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে নিচু জমিগুলোতে পাটের মধ্যেদিয়ে ধানের বীজ বপন করা যায়নি। কিছু উঁচু জমিতে বীজ বপন করা হয়। জমিতে ধানের গাছ খুব ভালো আছে। তবে সার ও কীটনাশক এর দামটা একটু কম হলে কৃষকদের জন্য ভালো হতো। আমরা সরকারের কাছে দাবী করবো, কৃষকের দিক তাকিয়ে যেন সার- কীটনাশক ও ডিজেলের দাম কমানো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, এবছর উপজেলায় ১২ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আশা করি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসছি।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫