ডাক্তার নামের কসাইয়ের জুলুমের স্বীকার হয়ে একজন মা তার চার দিনের সন্তানকে সাথে নিয়ে হাসপাতালের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্নহত্যা করে।
সিজারের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার মত পথ বেছে নেওয়া সত্যিই মর্মান্তিক।
উন্নত রাষ্ট্রে সিজার নামক টাকা কামানোর অপারেশন খুব একটা হয় না।একেবারেই নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ অপশনে থাকে সিজার নামক এই ধান্দাটা।
ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা ভুইভোঁড় কিছু ক্লিনিক ও মনুষত্বহীন কিছু ডাক্তারের বিচারের আওতায় আনা সময়ের দাবি।
এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
সেইসাথে একজন নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণেও ব্যর্থ আমাদের শাসক গোষ্ঠীর প্রতিও একজন নাগরিক হিসাবে নিম্নতম মৌলিক চাহিদা পূরণের আহব্বান রইল।
পরিশেষে একটা কথা বলব আমাদের সিলেট শহরে ব্যাংগের ছাতার মত গজিয়ে উঠা সকল প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাঃ সাহেবরা এই ঘটনা থেকে যেন শিক্ষা নিয়ে থাকেন। অযথা কোন রোগ নাই অথছ টেষ্ট বানিজ্যের নামে হয়রানি আর অতিরিক্ত ফি আদায়, এগুলো অতিদ্রুত বন্ধ করা উচিৎ। না হলে এভাবে আমাদের সিলেটে ও কোন এক দিন শুনবেন দূর্ঘটনা একটা ঘটে গেছে। আর আমি আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছি। আমাদের প্রবাসী অধ্যুষিত এই সিলেটে বেশি মানুষ অসুস্থ্য। আর তার একমাত্র কারন হল প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে টাকা দিচ্ছে আর চৌদ্দ গোষ্টি বসে বসে খাচ্ছে আর কাজ না করার কারনে নানান রোগ বালাই সৃষ্টি হচ্ছে। এই সুযোগে বাইরের জেলার অনেক ডাঃ এখানে এসে লন্ডনের মত কামাই করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ দেখার নাই। কেউ প্রতিবাদ করার নাই। কারন সময় এখন খুব খারাপ।
*ফজলু হক এর ফেসবুক থেকে নেয়া