মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : মিথ্যা মামলায় ফরিদপুর আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে হাজারো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হলেন সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান। উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের লিটন আলম হত্যার এজাহারভুক্ত মিথ্যা মামলার আসামী উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩৩ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ জুলাই) ফরিদপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হেলালউদ্দিন এ রায় প্রদান করেন।
রায়ের পরে বেকসুর খালাস প্রাপ্তদেরকে বিকাল ৪ টায় জেলগেট থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরন করেন এলাকাবাসী। এছাড়াও বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান সালথা সদর বাজারে আসলে সেখানেও তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হাজারো জনতা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২১শে মার্চ লিটনকে হত্যা করা হয়। হত্যা পরবর্তী নিহতের ভাই শাহআলম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। হত্যা মামলার তৎকালিন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা ২০০৮ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন আদালতে। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান সহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত মহামান্য আদালত দীর্ঘ শুনানির পর সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে আসামীদের বিরুদ্বে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় সোমবার এ রায় ঘোষনা করেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবি সৈয়দ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি এসময় সাংবাদিকদের আরো বলেন, এ হত্যা মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় মহামান্য আদালত এ রায় দিয়েছেন, মামলাটির সঠিক বিচার আমরা পেয়েছি।
বিকাল ৫টায় ইউসুফদিয়া গ্রামে উপস্থিত হয়ে জনতার উদ্দেশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, হত্যা না করেও আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আমি আদালত থেকে ও ন্যায় বিচার পেয়েছি।