আমীর চারু, সৌদি আরব : আজ সৌদি আরবের ইতিহাসে নারী স্বাধীনতার একটি স্মরণীয় মুহুর্তের দ্বার উন্মোচন হলো, দেশটিতে প্রথমবারের মত একজন নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।
সৌদি আরবের রিয়াদে ট্র্যাফিক জেনারেল ডিরেক্টরেট (জিডিটি) কর্তৃক এক টুইটে জানানো হয় -“স্বদেশের মেয়েদের হাজার হাজার অভিনন্দন, সৌদি আরবের প্রথম নারী চালকের লাইসেন্সটি জারি করা হচ্ছে,” খবর আরব নিউজ।
প্রথম ধাপে জিডিটি নারীদের বিদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরিবর্তে এখন সৌদি আরবের নারীদের এ দেশের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি লাইসেন্স যাচাই বাছাই ও গাড়ি চালানোর যোগ্যতা যাচাই শেষে প্রথম একটি গ্রুপকে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
পত্রিকাটি ট্র্যাফিকের মহাপরিচালক মোহম্মদ আল-বাসামার জেনারেল ডিপার্টমেন্ট উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে সৌদি নারীরা লাইসেন্স পেলেও আগামী ২8 শে জুন থেকে দেশটিতে গাড়ি চালানোর অনুমতি পাবে।
বর্তমানে সৌদি আরবে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালে নারীদের জন্য ড্রাইভিং স্কুল চালু করা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হচ্ছে- রিয়াদে প্রিন্সেস নুরা বিন্তে আব্দুর রহমান ইউনিভার্সিটি, জেদ্দায় বাদশাহ আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, তাবুক বিশ্ববিদ্যালয়, তৈয়ফ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সৌদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়াও রাজধানীতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ড্রাইভিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সৌদি ড্রাইভিং স্কুলে নারীদের গাড়ি চালনোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর অর্থনীতি সংস্কারের ধারাবাহিকতায় দেশটিতে নারীদের স্বাধীনতায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর গাড়ি চালানোর অনুমতি প্রদান দেশটির অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অনেকেই আশাবাদি। গত কয়েক বছর যাবত বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় খনিজ তেলের উপর নির্ভর দেশটির অর্থনীতি দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যায়।