মনির মোল্যা : ফরিদপুরের সালথায় বিয়ের প্রলোভনে গর্ভবতী হওয়ার পর সন্তানের পরিচয়ের দাবিতে ধারে ধারে ঘুরছে লাইজু বেগম (১৮) নামের এক নারী। লাইজু উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বাউষখালী গ্রামের মোঃ আকমল বিশ্বাসের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বাউষখালী গ্রামের আকমল বিশ্বাসের মেয়ে লাইজু বেগম (১৮) তার ৬ মাসের শিশু সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে স্থানীয় মাতুব্বরদের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী লাইজু বেগম জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার আপন চাচা শহর আলী বিশ্বাসের ছেলে মামুন বিশ্বাস আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায় আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা রকম তাল বাহানা করে সে। আমি যখন ৪ মাসের গর্ভবতী ঐ সময় সে অন্যত্র গোপনে বিয়ে করে ফেলে এবং পারিবারিক সালিশের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা আমার বাবা কে দিয়ে আমাদেরকে এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে বসবাস করতে বলে।
লাইজু বলেন, উপায়ন্ত না পেয়ে আমরা ঢাকা চলে যাই, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর সমাজের মানুষ সন্তানের পিতার নাম জানতে চায়, আমি জেনেও বলতে পারি না। এখন আমারও সন্তানের পিতার অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। এদিকে অভিযুক্ত মামুন বিশ্বাসের সাথে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মামুনের মা রিজিয়া বেগম বলেন আমার ছেলেকে যখন অন্যত্র বিয়ে দিতে গেলাম তখন লাইজু আমাদেরকে বললে আমরা ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে দিতাম না। এখন আমরা কি করবো পরের অন্য একটি মেয়ে ঘরে নিয়ে এসেছি তার তো কোনো দোষ নেই।
সালথা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ শাহিনুজ্জামান সাহিন জানান, মেয়েটার বাবা খুব গরীব মানুষ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় মেয়েটার পরিবারকে হুঁমকিধুমকি দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলছে।
বল্লভদি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারকে আমি আইনের সহযোগীতা নিতে বলেছি এবং প্রয়োজনে তাদের পাশে আছি বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।