সম্প্রতি সময়ে সবচেয়ে আলোচিত আর রোমাঞ্চকর অভিযোগ প্রকাশের শব্দটির নাম ‘#মি টু’। আর এই #মি টু’ শব্দটির অন্তরালে অনেকে পুরো কাশন্দি ঘেটে হীন উদ্দেশ্য লাভের আশায় কি নোংরামিই না করছেন। সুপ্রীতি ধর একজন নারী সাংবাদিক। নিশ্চিয়ই বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন নারী সাংবাদিক। একজন নারী সাংবাদিক তার মেয়ের (শিশু বয়সের) অর্থাৎ দীর্ঘ ১১ বছর পূর্বের স্মৃতিচারণ ফেসবুক স্ট্যাটাস অবলম্বনে সর্বশ্রদ্ধেয় ডিবিসি’র নিউজ এডিটর প্রণব সাহার বিরুদ্ধে কাল্পনিক #মি টু অভিযোগকে সমর্থন করা হাস্যকরই বটে। স্বাধীনচেতা ওই নারী সাংবাদিক একসময় প্রণব সাহার ভালো বন্ধু ছিলেন বলেই সর্বস্বীকৃত। বর্তমানে পেশা দক্ষতায় যখন প্রণব সাহা উচ্চ শিকড়ে; ঠিক সেই মুহূর্তে এক সময়ের বন্ধুটি শত্রু ত্বের হাতিয়ার হিসেবে নিজ মেয়েকে ব্যবহার করছেন?
সূত্রে জানা যায়, নারী সাংবাদিক সুপ্রীতি ধর ১১ বছর পূর্বে সাংবাদিক প্রণব সাহার সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের মাধ্যমে প্রেম করতেন। তখন নারী সাংবাদিক সুপ্রীতি ধরের মেয়ে শুচিস্মিতা সিমন্তি ছিল শিশু। আর সেই সময়ে সাংবাদিক প্রণব সাহার বিরুদ্ধে স্মৃতিচারণমূলক ‘#মি টু’র অভিযোগ আনেন মেয়েতুল্য শুচিস্মিতা সিমন্তি।
অনেকে প্রশ্ন করেন, একজন মা এবং সচেতন নারী সাংবাদিক হিসেবে সুপ্রীতি ধর তখন কিছুই দেখেননি, শোনেননি? বর্তমানে যখন সাংবাদিক প্রণব সাহার সঙ্গে নারী সাংবাদিক সুপ্রীতি ধরের সম্পর্কের অবনতি ঘটল, ঠিক তখনই সাংবাদিক প্রণব সাহার বিরুদ্ধে কথিত ‘#মি টু’ অভিযোগ এনে চরিত্র হরণের নামে সস্তা জনপ্রিয়তার ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা চলছে। এ প্রসঙ্গে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। তা নিয়ে এই প্রতিবেদন-
জার্মান প্রবাসী ডিবিসির নারী সাংবাদিক Fatama Rahman Ruma জানান, সাংবাদিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র শ্রদ্ধেয় প্রণব সাহের স্নেহে বড় হয়েছি ও আজ দু দশক ধরে দেখে আসছি। তার চিন্তা, চেতনা ও মননে সবসময়ই সৃজনশীল ও আদর্শভিত্তক দর্শন লালন করতে লক্ষ্য করেছি।
সম্প্রতি প্রবাসী এক নারী প্রণব সাহের বিরুদ্ধে যে অনাকাঙ্ক্ষিত অভিনয় করে অভিযোগ তুলেছে তা পড়ে রীতিমতো আমি স্তব্ধ!! যা সত্যিই হাস্যকর!! অযোক্তিক ও হীন মানুষিকতার পরিচয় বহন করে কারন ঐ প্রবাসী নারীর পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে দেখে এসেছি ও তাদের নৈতিক স্খলন সম্পর্কে জেনে এসেছি।
নিজেকে জনপ্রিয়তা করার জন্য তার এই জঘন্য, হীন ও নিচু মানুসিকতাকে ধিক্কার ও তীব্র প্রতিবাদ জানায়। আমি মনে করি মেয়ে সমতুল্য কারো সঙ্গে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে না । আশাকরি সাংবাদিক প্রনব সাহ এই চক্রান্ত থেকে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন।
নাহিদ তাহসান তার ফেসবুকে লেখেছেন, দাদা পাশে আছি।
Jinia Khan লিখেছেন, অাপনাকে বিশ্বাস করি দাদা। জানি কোনো ভিত্তি নাই এ অভিযোগের। অপপ্রচার অার শত্রুতার জন্য এ প্রচেষ্টা। তাও বিশ্বাস করি। পাশে অাছি দাদা।
এ বিষয়ে Pranab Saha ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা পেলাম:
আমার বিরুদ্ধে সম্প্রতি আমার সাবেক সহকর্মি ও সাবেক প্রেমিকা সুপ্রীতি ধরের মেয়ে শুচিস্মিতা সিমন্তি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ১১ বছর আগে তার ১৬ বছর বয়সে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে। যদিও ২০০৪ সালের দিকে কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কের সময় সুপ্রীতির ছেলে মেয়ে সীমন্তি ও সৌম্যকে নিজের সন্তানের মতই দেখেছি। তারাও নিশ্চিন্তে প্রণবমামার কোলেপিঠেই বড় হয়েছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই সন্তানতুল্য সীমন্তি যে এক যুগ পরে এমন একটা অভিযোগ তুলতে পারে সেটাই আমার জন্য বড় পীড়াদায়ক। এ অভিযোগের যেমন কোনো ভিত্তি নাই তেমনি এটাকে ধরে আমাকে সামাজিক,মানসিক এবং পেশগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করাও সমীচিন নয়। আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও গ্রহনযোগ্য নয়।
তারপরও বলি অভিযোগ নিয়ে মানবাধিকার কর্মি সুলতানা কামাল, খুশি কবির এবং নাসিমুন আরা হক মিনু ডিবিসি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন । যদিও অভিযোগটি যে সময় নিয়ে করা হয়েছে তখন আমি এবং সুপ্রীতি দুজনেই প্রথম আলো পত্রিকায় সহকর্মি ছিলাম। দুজনের সম্পর্ক পরিনতি না পাওয়ার ঘটনাও চুকে গেছে একযুগ আগেই।
এর বহুবছর বাদে ডিবিসি টেলিভিশনের জন্ম, এবং অভিযোগের ঘটনাস্থলও ডিবিসি নয়। আমি কৃতজ্ঞ আমার অফিস একতরফা আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযোগ তদন্তের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছেন।
অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রদ্ধেয় সুলতানা কামাল, খুশি কবির এবং নাসিমুন আরা হক মিনু আপাই কমিটি গঠন করে দেবেন। শুধু আমার বিনীত অভিযোগ কমিটিতে এমন কেউ থাকবেন না, যে বা যারা এরই মধ্যে একটি পক্ষ নিয়েছে।
আমার আবেদন সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করা, দোষী সাব্যস্ত করা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের জেরে আমার বর্তমান প্রতিষ্ঠানকে হেয় করা থেকে সবাই বিরত থাকবেন।
বন্য সুবর্ণলতা লিখেছেন, যুক্তিসংগত কথা বলছেন আপনি হিংসার শিকার আমার ধারনা যাহোক তদন্তের আগে আপনাকে দোষি সাব্যস্ত করতে চাইনা।
Razib Chakrabarty লিখেছেন, Ovijog jotokkhon proman na hobe totokkhon porjonto apni nirdosh dada..subho kamona..
Sukanta Sen লিখেছেন. সত্য একদিন না একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই,টেনশন করবেন না দাদা।
Nazneen Ahmed লিখেছেন, প্রণবদা, যৌন হয়রানি বা নির্যাতন যেমন কাম্য নয় তেমনি এ বিষয়টিকে পুঁজি করে কাউকে হয়রানিও কাম্য নয়। আশা করি তদন্ত সুষ্ঠু হবে। তদন্তের ফলাফলের আগে কাউকে দোষী যেন না ভাবি। ভালো থাকবেন।
Tasnin লিখেছেন, Apnar Jodi kono vul Na hoye thake Allah Rabbul Alamin Apnar shohay Hoben Inshallah. Apnar Mongol Kamona korchi..
Sebika Rani লিখেছেন, সুষ্ঠু তদন্তে দাবীতে মা এবং মেয়ে উভয়কেই উপস্থিত থাকার জোর দাবী জানাই। কারণ দুজনেই ভিক্টিমের অবস্থানে অবস্থান করছেন। ভিক্টিমকে স্বশরীর উপস্থিতি থাকা বাঞ্ছনীয় না হলে অভিযোগের তদন্ত পূর্ণতা পায় না। যেহেতু আপনি বলেছেন দিদির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেহেতু তাকে দেশে এসে নিজের বক্তব্য প্রদান এখন সময়ের দাবী। আমিও সত্য জানতে চাই কারণ যৌন হয়রানি বা নির্যাতন যেমন কাম্য নয়, তেমনি নারী হিসেবে অভিযোগ করলেই কাউকে একতরফা দোষী বলাও যায় না। আশা ও বিশ্বাস করি তদন্ত কমিটি তৎকালীন কর্মস্থলের ভাষ্যও নিবে। যদি আপনাকে হাজির থাকতেই হয় তাহলে তাদেরও থাকাটা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
Adnan Shafiq লিখেছেন, ১১ বছর পর অভিযোগ! বড্ড দেরিতে করা হলো এই অভিযোগ। অভিযোগটিকে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। পুরো বিষয়টা এক ধরণের মৌলবাদীতার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আমি মনে করি কোনো সমস্যা থাকলে দুপক্ষ খোলামনে কথা বলে সমাধানে যেতে পারে। কারণ উনারা সবাই একেবারে কাছের মানুষ এবং এক সময় স্বজনের মতো ছিলেন। আশা করি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
Biswajit Datta লিখেছেন, a vabe ki atke rakha jabe ??? Dada Chinta korben na Chintamoy ma prodiper alote sob ondhokar dur korbe. Joy Ma kali.
Bipul Roy লিখেছেন, যৌন হয়রানি, একজনকে ফাঁসানোর এখন সব চেয়ে বড় অস্ত্র। তাই উভয় পক্ষের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কোন অভিমত বা অভিযোগ কাম্য নয়।
Hasan Tarique Chowdhury লিখেছেন, এটি প্রণব সাহার বিরুদ্ধে এক ধরনের চক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে। এ চক্রান্ত সফল হলে কোন কন্যাই আর তার পিতাকে বিশ্বাস করবে না। এ চক্রান্তের হোতাদের খুঁজে বের করা দরকার।
Salam Khokan লিখেছেন, প্রনব দা কে যতটুকু চিনি এবং জানি তার পক্ষে একাজ হতে পারেনা। দাদা ভালো থাকবেন।
Fazlul Bari Babu লিখেছেন, লিটনকে চিনি আমি প্রনবের চাইতে বেশী। এই লিটন যখন স্কুলের ছাত্র, যখন তার নষ্ট হবার বয়স, তখন খুব খুব কাছে থেকে জেনেছি তাকে দেখেই। এতোটুকু অশালীন হতে চোখে পরেনি তখন। করতো উদীচী গাইবান্ধা। চলে এলো ঢাকায় তুলসী দার কাছে। শুরু করলো ঢাকা কেন্দ্রীয় উদীচী। তুলসী দার মেসে যখন লিটন একসাথে থাকে পিতা, মাতা, ভাইবোন ছেড়ে, তখনতো ধ্বংস হয়ে যাবার সুবর্ণ সুযোগ, কিন্তু চোখে পরেনি লিটনের এহেন এতটুকুন ত্রুটি!
হঠাৎ আজ এই পোষ্টটি দেখে চমকে গেলাম! মেয়েদের সম্মান দেয়া ছাড়া যার হাসিতে কোনোদিন অশালীন এতোটুকু কিছু দেখলাম না, সে করবে এমন কাজ, না নিজেকে অবিশ্বাস করতে আমি দ্বিধা করবো না, কিন্তু আমার এই ভাইটির ব্যাপারে এই অসত্য অবশ্যই প্রমানিত হবে নির্মল আলোকচ্ছটায়। আর প্রার্থনা করি যারা এই নীচু কাজটি করছেন, তাদের আল্লাহ্ সুমতি দান করবেন।
Ashraf Liton লিখেছেন, এটা স্রেফ মিথ্যা নাটক। প্রণব দাদাকে হেয় করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। দাদা শুভ কামনা আপনার জন্য। পাশে আছি।
Fazilatun Nasa Bappy MP লিখেছেন, We believe in Rule of Law..The law is above all.. And Law goes with evidence..
শেখ রিয়াদ মুহাম্মদ নুর লিখেছেন, ১৬ বছরের মেয়ে আপনের কোলে পিঠে উঠেছে তাও বিশ্বাস করতে হবে? যা শুনাইলেন সত্যিই ফাইন!
গোপন সূত্রে জানাযায়, সুপ্রীতি নিজে ফেসবুক ডিএক্টিভ করে ফোনে তার ঘনিষ্টদের জানাচ্ছে যে প্রণব সাহা হ্যাক করিয়েছে। তবে তারা তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হবে কি না তা নিয়েও মা মেয়ে কিছু বলছে না।এমনকি তারা কে কোন দেশে সেটাও ঢাকায় কারো কাছে পরিষ্কার নয়।