এ এস কাজল ষ্টাফ রির্পোটার: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে এমপি ডাঙ্গী গ্রামে বালির বস্তা ফেলার আগেই ভেঙ্গে যেতে পারে ফরিদপুর-চরভদ্রাসন সংযোগ সড়ক। ঝুকিতে রয়েছে বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বেড়ী বাধ।শনিবার রাত ১১ টারদিকে এ দুটি স্থানে হঠাত করেই দেখা দেয় তীব্র ভাঙ্গন।
খবর পেয়ে এমপি ডাঙ্গী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রচন্ড শ্রোতের মুখে বিলীন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক মাটির চাপ। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরবাড়ী সড়াতে ব্যাস্ত ভাঙ্গন কবলিত দিশেহারা পরিবার। ক্রমশই সড়কের দিকে ধেয়ে আসছে সর্বগ্রাসী পদ্মা।
অবশ্য কয়েকদিন ধরে অস্থায়ী ভাবে ভাঙ্গন রোধের জন্য চলছে জিও ব্যাগে বালু ভরাটের কাজ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ প্রথম দিকে কাজের গতি থাকলেও নৌকা দিয়ে ডাম্পিং করে এখনও নদীতে বস্তা না ফেলায় আজ এই ভাঙ্গনের কবলে পরলো তারা।এসময় শিক্ষক আবুল মনসুর বলেন ডাম্পিং কাজের গাফিলতি না থাকলে আজ এ ঘটনা ঘটতো না। যেভাবে ভাঙ্গছে তা অব্যাহত থাকলে বালুর বস্তা সহ রাস্তা নদীতে নিয়ে যাবে। কছিুই করার থাকবে না।
ভাঙ্গনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার তাতক্ষনিক ভাবে ঘটনা স্থলে ছুেেট আসেন। তিনিও ভাঙ্গনের তীব্রতা লক্ষ্য করেন।এছাড়া জিও বেগ ফেলায় বিলম্ব দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন এ কাজের সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কাজ করার জন্য আমি বারবার তাগাদা দিয়েছি।যেখানে সাধারন মানুষের জীবন নির্ভর করছে সেখানে কোন প্রকার গাফিলতি বরদাসত করা হবে না।এর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে একই সময় ফাজেল খার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী সংলগ্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়। চরম ঝুকিতে রয়েছে বালিয়া ডাঙ্গী বেড়ীবাধ ও মোল্যা ডাঙ্গী স:প্রাথমিক বিদ্যালয়এবং ফাজেল খার ডাঙ্গী স: প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উল্যেক্ষ,যেহেতু বর্ষা মৌসুম তাই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুসারে বেশি ঝুকিপূর্ন ভাঙন এলাকায় ২২০মিটার অস্থায়ী বাধঁ নির্মানের কাজ চলছে যাতে করে মানুষের ঘর বাড়ি ও পাকা সড়ক নদী গর্ভে বিলীন না হয়ে যায়।