নিউজ ডেস্ক : শিশু হিরা মণির বয়স মাত্র ১১ বছর। পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী। কয়েক মাস আগেও যে শিশুটি আর পাচটা শিশুর মতো ছুটো-ছুটি,লম্ফ-ঝম্ফ করতো সেই দূরন্ত -উচ্ছ্বল শিশুটির জীবনের গতি আজ থমকে দাড়িয়েছে। দূর্ভেদ্য অচলায়তন ঘিরে ধরেছে হিরামণিকে। মৃত্যু দূত হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে। শিশু হিরাও পৃথিবীতে জীবনের আলো ছড়ানোর আগেই ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে সেই অমোগ পরিণতির দিকে। যে বাস্তবতা উন্মাদ করে তুলেছে দরিদ্র, অসহায় মা-বাবাকে। মাস ছয়েক আগে হটাৎ পেটের ব্যাথায় আক্রান্ত হয় হিরামণি।
স্থানীয় ছোট-খাটো চিকিৎসায় কাজ না হলে হিরাকে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে ভালো চিকিৎসকের কাছে। সে খানে অনেক পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর হিরার পেটে ধরা পড়ে বিশাল টিউমার। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন ফরিদপুরে হিরার অপারেশন সম্ভব নয়। পরামর্শ দেন ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার। মাথায় বাজ পড়ে নছিমন চালক বাবা শুকুর আলী ও চাতাল শ্রমিক মা শেফালী বেগমের। মেয়েকে অপারেশনের এত টাকা কোথায় পাবেন তারা।পাচ সদস্যের পরিবারের জীবীকার একমাত্র মাধ্যম নছিমনটি বিক্রী করে দেন শুকুর আলী। মেয়েকে ভর্তী করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অপারেশন করে দেড় কেজী ওজনের বৃহত টিউমার বের করা হয় হিরার পেট থেকে।
হাসপাতালে বিনামূল্যে এ অপারেশন সেবা পেলেও ওষুধ-পত্র কেনা, থাকা-খাওয়া আর দৌড়-ঝাপে শেষ হয়ে যায় শুকুর আলীর নছিমন বিক্রীর সব টাকা। কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায়নি কষ্টগাথার।
হিরামণির জীবনের নতুন এক দূঃসংবাদ শুকুর ও শেফালিকে চরম এক ভয়াবহতার মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছে। হিরার টিউমারের ক্ষত স্থানে বাসা বেধেছে প্রাণঘাতি রোগ ক্যান্সার। যার চিকিৎসার ব্যায় নির্বাহ করার ন্যূন্যতম আর্থিক সামর্থ্য শুকুর আলীর আর অবশিষ্ট নেই। ফলে সন্তানের নিশ্চিত মৃত্যু ভাবনা রীতিমতো পাগল করে তুলেছে ভূমিহীন হত দরিদ্র মা-বাবাকে। তাই প্রিয়তম সন্তানের জীবন বাচাঁতে সমাজের হৃদয়বান স্বচ্ছল-বিত্তশালী মানুষদের সহযোগীতা কামনা করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কেয়াগ্রাম নিবাসী শুকুর আলী ও শেফালী বেগম।
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা—
মো. শুকুর আলী-
একাউন্ট নং ৩৪০৭৭৬৭৩,
সোনালী ব্যাংক, বোয়ালমারী শাখা, ফরিদপুর।
বিকাশ নং 01852-309692