মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ইউসুফদিয়া গ্রামের লিটন হত্যা মামলার আসামি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩২জন আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। সোমবার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলালউদ্দিন এ রায় দেন। এর আগে বুধবার একই আদালত ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩০ আসামী আদালতে হাজির হলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায়।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ ওই ৩০জন লিটন আলম (৩২) হত্যা মামলার আসামি ছিলো। নিহত লিটন আলম সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলি মাতুব্বর ছেলে। লিটন বিবাহিত এবং তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২১ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ওষুধ আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে ইউসুফদিয়া গ্রামের হাই মাতুব্বরের বাড়ির সামনে লিটনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন লিটনের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার বাদীয় পক্ষের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন রায় ঘোষণা না করে ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩০জন আসামি আদালতে হাজির হলে তাদেরকে জেলা হাজতে পাঠান আদালত। একই দিন আদালত রায়ের পরবর্তি তারিখ সোমবার ১৬ জুলাই নির্ধারণ করেন। তিনি বলেন আজ সোমবার আদালত এই মামলার ৩২ জন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়, আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
এদিকে আসামী পক্ষের স্বজন সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু কোর্টে সাংবাদিকদের জানান এই রায়ের মাধ্যমে সত্যর জয় হয়েছে। আমরা নায্য বিচার পেয়েছি আদালতের কাছ থেকে।
আসামী পক্ষের আইনজীবি সৈয়দ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, লিটন হত্যা হয়েছে এটা সঠিক তবে এ মামলায় যারা আসামী হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে লিটন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কোন প্রমাণ মেলেনি। তাই আদালত সকল আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।