কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী গোলাম সারোয়ার গোলাপ সফল ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সমাজে বিশেষ অবদান রাখায় এবার মাদার তেরেসা স্মৃতি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ।
কাজী রুমেল :- রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে স্বাধীনতা সংসদ তাদের ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে অপসংস্কৃতি রোধে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চার গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও লোক সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে ।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে এই সম্মাননা পদকটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণাললয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। সংগঠনের উপদেস্ঠা ,বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি জনাব আবুল বাসার হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুস্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব শাহেদ আহম্মেদ । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ আ:লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন। অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন। রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো:রফিকুল ইসলাম। বিশিস্ঠ লোক সংগীত শিল্পী বাবু কিরণ চন্দ্র রায়, চিত্র নায়িকা অঞ্জনা প্রমুখ।
এর আগে এলজিএসপিতে কিশোরগঞ্জ জেলায় ‘এ’ গ্রেড অর্জনকারী হিসেবে গোলাম সারোয়ার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের পদকে ভূষিত হন। এইজন্য তাকে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম (বিইউপিএফ) স্বর্ণপদক ও আজীবন সদস্য ক্রেস্ট প্রদান করে। গত ১৬ জুলাই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লেমেন্টেশন (পপি) তাকে “সাদা মনের মানুষ” নির্বাচিত করে সংবর্ধনা ও পদক প্রদান করেন। ২০ জুলাই তিনি সমাজ সেবায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ লাভ করেন শেরে বাংলা পদক,ছাড়াও তিনি ফিদেল কাস্ত্রো পদক , হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পদক লাভ করেন ।
কাজী গোলাম সারোয়ার গোলাপ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামের বাসিন্দা। ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম কাজী মফিজ উদ্দিনের সন্তান। গোলাম সারোয়ার ১৯৭৩-৭৪ সালে ভৈরব উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তুখোড় ছাত্রনেতা হিসেবে তখন তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী এবং তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক।২০১৬ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। নির্বাচিত হয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীদের সঙ্গে ঐক্যের বন্ধন তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন। প্রাপ্ত সম্মাননার বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমি আমার এসব প্রাপ্ত সম্মান গজারিয়া ইউনিয়নবাসীকে উৎসর্গ করেছি। তারা তাদের ভোটাধিকার আমার পক্ষে প্রদান না করলে আমি আজ এই সম্মানে ভূষিত হতে পারতাম না। তারা শুধু আমাকে নির্বাচিতই করেনি, এলাকার উন্নয়নে তাদের ভালোবাসা আর সহযোগিতা নিয়ে আমার পাশে থেকে অকুণ্ঠ সমর্থনও দিয়ে যাচ্ছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমি আজীবন তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।’
এ সময় তিনি গজারিয়া ইউনিয়নবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও সদস্যাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। ধন্যবাদ জানান ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম, ভৈরব উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও।