কাজী রুমেল- ভৈরব – কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে ট্রেনেকাটা পড়ে নিহতের ঘটনা এখন যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ভৈরবের কোন না কোন স্থানে ট্রেন ! যমদূত হয়ে আবর্তিত হচ্ছে কারো না কারো উপর। এর জন্য সবশেষ ভাগ্যকে দায়ীকরে অফিসিয়াল কিছু কর্ম সমাধান করাই এখন কাজ । কিন্তু শুধু কি ভাগ্যকে দায়ী করলেই সব শেষ ? জানা গেছে যেসব স্থানে এ দূর্ঘটনা গুলো ঘটছে এর বেশীর ভাগ দূর্ঘটনা রেলক্রসিং, রেলস্টেশন কিংবা এর আশেপাশে। এ নিয়ে যাদের মাথা ব্যাথা থাকার কথা তারা প্যারাসিটামল খেয়ে নিজদের মাথা থেকে ব্যাথা দূর করে সব দায় ভাগ্য আর নির্মম ভাগ্যবরণ করা মানুষটির কাঁধে চাপিয়ে ক্ষান্ত । প্রেসনোট, পোস্টমর্টেম, মামলা ! অতঃপর লাশ হস্তান্তর । কিন্তু একটু সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ সম্ভব নয় কি ? এ প্রশ্ন? কে ? কাকে ? কে করবে ? প্রশ্ন থাকুক প্রশ্নের জায়গায় ঘটনাটাই লিখি।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের ৩৫ নম্বর রেল সেতু (ব্রক্ষ্মপুত্র নদের ওপর) থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তার পরনে ছিল নীল, সাদা ও কালো রঙের ঘর করা লুঙ্গি এবং লাল, নীল ও হলুদ রঙের ডোরা কাটা হাফ হাতা গেঞ্জি।
ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই সুরুজ্জামান বলেন, জনৈক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন- লোকটি দৌলতকান্দি রেলষ্টেশনের দিক থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ভৈরবমুখী আসছিল। এই সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী এগারসিন্দুর ট্রেন তাকে ধাক্কা দিলে তার মাথা ও হাত মারাত্মক জখম হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এইআই সুরুজ্জামান বলেন, অসাবধানতার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। লোকটি আশেপাশের কোনো এলাকার বাসিন্দা হয়ে থাকতে পারেন।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন থানার ওসি আ. মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।