কাজী রুমেল- ভৈরব- কিশোরগঞ্জ : ভৈরবের স্পর্শকাতর এলাকা রসুলপুর এক মৃত্যুপুরীর নাম। মানুষ হত্যা যেন এ অঞ্চলে বিয়ে বাড়ির মুরগী জবাই ! স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ এ অঞ্চলের বিবাদ মীমাংসা আর ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ওদের হত্যা সংবাদ প্রচার করতে করতে অনেকটা বিব্রত। মাসে একটি খুন । অতঃপর লুটপাট, মামলা, হামলা এলাকাটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে । আজ রসুলপুরতো পরের মাসে ভবানীপুর। নিত্যদিন চলছে মানুষের রক্ত নিয়ে খেলা।
এবার চাচার ইটের আঘাতে এক ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। এ বিষয়ে ভৈরব থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গত বুধবার সকালে নিজেদের ভূমিতে গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হামিদ (৫০) ও তার চাচা কেরামত আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিনের (৬০) সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় চাচা হেলাল উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে তার ভাতিজা আব্দুল হামিদকে ইট ছুঁড়ে মারেন। এতে আব্দুল হামিদ মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন।
আহত আব্দুল হামিদকে তার স্বজনরা প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসা শেষে গত পরশু সোমবার স্থানীয় একটি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আজ বুধবার সকালে আব্দুল হামিদ মারা যান।
খবর পেয়ে আজ দুপুরে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক আবুল খায়েরের নেতৃত্বে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক সুরৎহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়না তদন্তের পর লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।