বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য জেলা চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভূমি, বরেণ্য রাজনিতীবিদ, শিল্প সাহিত্য সহ বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ নেতৃবৃন্দদের পদচারনায় ধন্য চিরচেনা চট্টগ্রাম পুন্যভূমি।
বলা বাহুল্য, সুখ কিংবা দুঃখ উভয় কারণেই পাড়া – প্রতিবেশী, আত্মীয় -স্বজন ও বন্ধু – বান্ধবদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর নামই হলো মোজবান। ঐতিহাসিকভাবে মেজবানি চট্টগ্রামের একটি অন্যতম ঐতিহ্যগত উৎসব যেখানে সাদা ভাত গরুর মাংস দিয়ে খাওয়ানোর জন্য অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুধু দেশে নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও রয়েছে চট্টগ্রামবাসীর সেতুবন্ধন, ইতালি ভেনিসতে চট্টগ্রামবাসী বসবাস করছেন বেশ সুনামের সহিত। ভেনিসে চট্টগ্রাম বাসীর রয়েছে একটা শক্ত অবস্থান, একে অন্যের সাথে, বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে ভেনিস চট্টগ্রামবাসীর বিশেষ মেজবানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রামবাসী সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চট্টগ্রামবাসী মেজবানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন মহিউদ্দিন মিন্টু, সনদ বড়ুয়া, মোশারফ হোসেন, নাসির উদ্দীন, ইসমাইল হোসেন সমুন, মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, সফিকুল ইসলাম সাব্বির, ফকরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আমজাদ হোসেন, নূর মোহাম্মদ বাবুল,আব্দুল হালিম, জয়নাল আবেদীন, দেলোয়ার হোসেন, সবেদর বড়ুয়া, অমিট বড়ুয়া, বাবুল বড়ুয়া, নন্দন বড়ুয়া, রুপক বড়ুয়া, সুকান্ত বড়ুয়া আসিষ বড়ুয়া, আবদুর রহিম, নওশাদ প্রমুখ।
চট্টগ্রামবাসী ভেনিস বসবাসরত সর্বস্থরের উপস্থিতির পাশাপাশি ভেনিস সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক এবং কমিউনিটি ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে পুরু অনুষ্ঠানটি ছিল আনন্দ মুখরিত।
আরো উপস্থিত ছিলেন শাজাহান কবির ইদ্রিস, আবদুল বারী, বিল্লাহ হোসেন ঢালী, রফিকুল ইসলাম ছৈয়াল, কামরুল সরোয়ার, আবদুল আজিজ সেলিম, আবদুল কালাম আজাদ, শাহাদাত হোসেন, আক্তার হোসেন বেপারী, সোলেমান হোসাইন, তাজুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান হাওলাদার, মনোয়ার ক্লাক, কুদ্দূছ চৌধুরী, মোক্তা মোল্লা, আবদুল জলিল, কাজী আব্দুল বারী রোনাক, আজাদ খান, ইরফান মাষ্টার, ডালিম মাহমুদ, সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
আয়োজকরা বলেন, ভেনিসতে চট্টগ্রামবাসীকে সু-সংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান চট্টগ্রামবাসী। তারা আরো বলেন চট্টগ্রাম ঐতিহ্যে কে স্মরণীয় করে রাখতে ভেনিস বসবাসরত চট্টগ্রামবাসী একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে আজকের এই “মেজবানী ” আয়োজনটি। এছাড়াও ভেনিসে বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্মের কাছে চট্টগ্রাম নাম ইতিহাস, সংস্কৃতি, গৌরব ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে পারা আমাদের আয়োজন অন্যতম। চট্টগ্রাম জেলার ঐতিহ্য ছড়িয়ে যাক শত থেকে হাজারো বছর। চট্টগ্রাম এগিয়ে যাবে সাথে সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ। আমাদের বিশ্বাস আমাদের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই মেজবান এখন পর্যন্ত তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।ভেনিসে মেজবানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র। এর ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে বহমান থাকুক এটাই আমাদের চট্টগ্রামবাসী প্রত্যাশা।