ষ্টাফ রিপোর্টার : বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগের একাংশের নব গঠিত আহবায়ক কমিটিকে ভূয়া ও জাল বলে অবিহিত করলেন ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ। আজ ৯ জুন বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগের পুরাতন কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ আখ্যা দিয়ে বলেন,বাংলাদেশ আওয়ালীগের একটি অন্যতম সহযোগী সংগঠন হচ্ছে কৃষকলীগ। এর একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা গঠন তন্ত্র রয়েছে। কোন অতিথি পাখি উড়ে এসেই এর কোন কমিটি ভাঙতে বা গড়তে পারেন না।
নিজেদেরকে জেলা কমিটির বৈধ নেতৃত্ব দাবী করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমাদের অনুমোদন ছাড়া কোন উপজেলা কমিটি বৈধ বলে গণ্য হবেনা। আর আমরা বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগেরপুরোন কমিটি ভেঙ্গে নতুন কোন আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ বা অনুমোদন দেইনি। এমনকি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এব্যাপারে কোন আলোচনাও হয়নি। কাজেই বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগের পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে মর্মে যারা ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তাদের সাথে জেলা বা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের কোন সম্পর্ক নেই। অতএব বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগের নব গঠিত কমিটি ভূয়া ও জাল। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,একটি অশুভ চক্র নিজেদের ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে কৃষকলীগ ও এর সর্বাধীক জনপ্রিয় নেতা কাজী সিরাজুল ইসলামের ভাবমূর্তী নষ্ট ও তাকে দূর্বল করতে ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। তারা প্রকৃত ত্যাগী,পরিশ্রমী বঙ্গবন্ধু সৈনিকদের সড়িয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিষ্ঠা করার পায়তারা করছে। নির্বাচন এলে এসব অতিথি পাখিদের দেখা মেলে। নির্বাচন শেষে বা দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হবার পরই তারা আবার জায়গামতো ফিরে যায়। এদের দ্বারা দলেরতো কোন উপকার হয়-ই না বরং নেতা-কর্মীদের বিপদে ফেলে তারা সটকে পড়ে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কবিরুল আলম মাও।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ সভাপতি,সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি এ্যাডঃ কায়সার হামিদ, সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ মিয়া, বোয়ালমারী কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারন সম্পাদক আকরামুজ্জামান মৃধা রুকু, আলফাডাঙ্গা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।