মনির মোল্যা : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সদরে কলেজ রোডে অবস্থিত আলোর পথ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের বিরুদ্বে ঐ নিরাময় কেন্দ্রের রোগী হত্যার দায়ে মালিকসহ ৭ জনের নামে হত্যা মামলায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে পাওয়া যায় গত ২০ শে এপ্রিল একই জেলার সালথা উপজেলার সালথা গ্রামের মুক্তিযোদ্বা আবুল কালাম (ইনসুর) তার সেজ ছেলে নিহত রেজাউল (২৫) কে বোয়ালমারী আলোর পথ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ১২ হাজার টাকা মাসিক খরচের চুক্তিতে ভর্তি করে রেখে আসেন। ভর্তির ৪দিন পরে ২৪ এপ্রিল সকাল ১১ টায় নিহতের বাবা তার সন্তনকে দেখতে গেলে তাহার সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কতৃপক্ষ বলেছে তাহার ছেলে ভাল আছেন, একথা শুনে নিহত রেজাউল করিমের বাবা ৮ হাজার টাকা ঐনিরাময় কেন্দ্রে জমা দিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসেন। ঠিক ঐ দিনই সন্ধ্যা ৭ টায় নিরাময় কেন্দ্রের মালিকের মোবাইল ফোন থেকে ফোন আসে নিহত রেজাউলের বাবার মোবাইলে। নিরাময় কেন্দ্রের মালিক জাহিদ হাচান মোবাইলে বলেন আপনার ছেলে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষনিক স্থানীয় কয়েকজন নিয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ছুটে যাই, গিয়ে দেখা যায় নিহত রেজাউলের নিথর দেহ হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে আছে, কিন্তু ঐ নিরাময় কেন্দ্রের কোন লোকজন সেখানে নেই। কর্তব্যরত ডাক্তার জানান রেজাউল কে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মাথায় আঘাতের চিহ্ন, শরীরে ভিবিন্ন জায়গায় ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। বোয়ালমারী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ ময়না তদন্তে জন্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় । এজাহারে আরও বলা হয়েছে ঐ নিরাময় কেন্দ্রের আশ পাশের লোক জন জানিয়েছে ঘটনার দিন বিকাল৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাময় কেন্দ্রে মালিক সহ অন্যন্য আসামীরা মারপিঠ করিয়ে হত্যা করেছে। বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে নিরাময় কেন্দ্রে লোকজন হাসপাতালে নিয়ে রেখে আসে।
মামলার বাদী নিহত রেজাউলের বাবা মুক্তিযোদ্বা আবুল কালাম (ইনসুর) বলেন ঐ নিরাময় কেন্দ্রে পাশের কিছু লোকজন জানিয়েছেন মাঝে মধ্যে রোগীদের বেধড়ক মারপিঠ করতো, যাহা অমানবিক আর মালিক জাহিদ হাচান নিজেও মাদকাসক্ত সে কিভাবে রোগীদের মাদক মুক্ত করবে।