বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ আবুল হাসানের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই নির্বাচনে একটি প্যানেল দিয়ে সংশ্লীষ্ট প্রার্থীদের পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ভোট প্রার্থনা করছেন এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষককেও একাজে ব্যবহার করছেন বলে জানাগেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী একাধীক প্রার্থী অভিযোগ থেকে জানাযায়,একজন অধ্যক্ষ হয়ে আবুল হাসান তার নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। অথচ এ বিধানের ব্যতয় ঘটিয়ে ঐ অধ্যক্ষ নিজেই নির্বাচনে একটি প্যানেল দিয়েছেন। ঐ প্যানেল প্রার্থীদের পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সরাসরি ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থী মাওঃ আজিজুর রহমান ও মোঃ জয়নাল সরদারের পক্ষে। মাদ্রাসার বেশ কিছু শিক্ষককেও তিনি ভোট চাওয়ার কাজে ব্যাবহার করছেন বলে অভিযোগ। প্রার্থী লুৎফর রহমান মোল্যা ও ফারুক চৌধুরী বলেন,আগামী ৩০ জুন অনুষ্ঠেও নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে অঘোষিত ছুটি চলছে। অধিকাংশ শিক্ষকই প্রতিদিন মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে দলে-দলে বিভক্ত হয়ে অধ্যক্ষ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইতে বের হচ্ছেন। এ কারনে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। শিক্ষক জলিল হাওলাদার,সাহিদুল ইসলাম,হাফিজুর রহমান,কারী হারুনুর রশিদ,ফিরোজুর রহমান,আজিজুর রহমান ও আবু নাসের সহ আরো অনেক শিক্ষকই এখন ক্লাস বর্জন করে প্রতিদিন গ্রামে-গ্রামে গিয়ে বেআইনী ভাবে ভোট প্রার্থনা করে বেড়াচ্ছেন। ২৭ জুন সরেজমিন মাদ্রাসাটি পরিদর্শনে গিয়ে উল্লেখিত শিক্ষকদের মধ্যে দু’একজন বাদে বাকীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। অভিযোগকারীরা আরো বলেন,অধ্যক্ষের পক্ষপাত দুষ্ট আচরণে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তিনি তার প্যানেলের বিজয় নিশ্চিত করতে আইন-বিধির তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছে তাই করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবুল হাসান বলেন,ক্লাস চলাকালে কোন শিক্ষক ভোট চাইতে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ কেউ মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আমার ভাবমূর্তী নষ্ট করছে। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো আমার কান পর্যন্ত পৌছায়নি। তাই কিছু বলতে পারবো না।
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest