রাজিউল হাসান পলাশ: গত সাড়ে ১৫ বছর সারা বাংলাদেশকে একটি উন্মুক্ত কারাগার বানিয়ে রেখেছিলো আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যে অভিযোগে মামলা দিয়েছিলো যারা তারা আজ কোথায়? তাদের কি কোথাও দেখতে পান? তাদের কোথাও কি দেখা যাচ্ছে? তারা এই দেশের জনগণের ক্ষতি করে পালিয়েছেন। আমরা কিন্তু সাড়ে ১৫ বছর মাঠে ছিলাম, ওই ফ্যাসিস্টদের ভয়ে আমরা কিন্তু পালিয়ে যাই নাই।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী শহীদ ফয়সাল উদ্দীন হাশমি’র ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান অভি।
তিনি আরোও বলেন, হাশমি’র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে। গত ৬ বছরে হাশমি’র মা ধামরাই থানা, ঢাকা এসপি অফিস, আদালত, সিআইডি অফিসসহ এমন কোন দরজা নাই যেখানে গিয়ে কান্না করে নাই। এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই আমার শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত এই মায়ের চোখের কান্নার জল বৃথা যেতে দেবো না। যারা হাশমির শরীরের রক্ত বের করেছে এই মাটিতে তাদের বিচার হবেই হবে, এই সন্ত্রাসীদের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে ফাঁসির মঞ্চে উঠিয়ে তারপরে আমরা ঘরে ফিরব।
এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যেদিন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে দেশ নায়ক তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে সেদিন এই মাটিতে ওই সকল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অস্তিত্ব এই বাংলাদেশের মাটিতে থাকবে না।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, ধামরাই থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ফিরোজ। এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুম আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ, ধামরাই থানা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক লেহাজ উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাশেদুল ইসলাম রাজু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহীন আহমেদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর আকিব আলী, যুগ্ম-আহবায়ক জনি, শাকিল, পারভেজ পাঠান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ প্রমুখ।