মনির মোল্যা : বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন আপোষহীন সংগ্রামী ব্যাক্তির নাম লায়েকুজ্জামান। যার চিন্তায়-চৈতান্যে-মননে-মগজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। স্কুলের গন্ডি পেরুনোর আগেই নাম লেখান বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগে। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু- সেই মরনজয়ী শ্লোগানে আজো তিনি ধারন করে আছেন রাজপথে শ্লোগানে -মিছিলে লেখনীতে।
এক সময়ের মেধাবী ছাত্র লায়েকুজ্জামান লেখা-পড়া করেছেন নগরকান্দা এমএন একাডেমী, ফরিদপুর জেলা স্কুল , রাজেন্দ্র কলেজে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স মাষ্টার্স করেছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
পচাঁত্তর সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী রাজনীতির সেই মহা দুর্দিনে জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসনের বুটের তলায় যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পদ-দলিত -গণতন্ত্র পদ-পিষ্ট, লাখো লাখো মুজিব প্রেমিক যখন ভয়ে জড়োসড়ো বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারন প্রায় নিষিদ্ধ, জয়বাংলা শ্লোগান বন্ধ সেই সময়ে নগরকান্দায় ছাত্রলীগের কমিটি করতে আসলেন তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম নীরু, ছাত্রলীগ নেতা আবু দায়েন কাজল, ছাত্রলীগের নামশুনে কেউ বসার জায়গাটুকু দেয়নি সেদিন। সেটা ১৯৭৮ সালের কথা। শেষ পর্যন্ত অল্প কয়েকজন ছাত্র নিয়ে নগরকান্দার ডাকবাংলোর বারান্দায় বসে গঠন করা হলো থানা ছাত্রলীগের কমিটি। নগরকান্দা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হলো আবুল কাশেমকে। (কাশেম ভাই প্রয়াত হয়েছেন) সাধারণ সম্পাদক হলেন ইমদাদুল হক (বর্তমানে ঢাকায় চাকুরীরত) ছাত্রলীগের ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় লায়েকুজ্জামানকে । তিনি তখোন স্কুলের ছাত্র। ছাত্র রাজনীতির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু তখন থেকে।
স্কুলের সীমানা পেরিয়ে ছাত্রলীগ রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার আহ্বায়ক হন। ছাত্রলীগের পচাত্তর পরবর্তী কমিটিরর সভাপতি ওবায়দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক বাহলুল মজনুন চুন্নুর কমিটির পর কেন্দ্রীয় ভাবে বিভক্ত হয়ে ছাত্রলীগের দু’টি কমিটি হয়। একই ধারায় ফরিদপুরের জেলা কমিটিও হয় দু’টি। এক কমিটির প্রচার সম্পাদক হন লায়েকুজ্জামান- এই ধারাবাহিকতায় এ কমিটির সভাপতি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে ছিলেন ফরিদপুরে সংগ্রাম পরিষদের নেতা। পরে স্বৈরাচার বিরোধী লড়াইয়ে ছিলেন ঢাকার রাজপথে।
ফরিদপুরে আওয়ামী যুবলীগের কমিটি হলে তিনি সহ-আইন সম্পাদক হন। যুবলীগ ছেড়ে ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগে আসেন। ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। একই সঙ্গে কৃষক লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য হন। বর্তমানে এ পদে আছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি একজন তুখোড় সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান। সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিয়মিত রাজনীতির ভাষ্য লিখেন কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘দিন দর্পন’ ও ভারতীয় খ্যাতিমান গণমাধ্যম গ্রুপ ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের পত্রিকায়, যে লেখা অনুবাদ হয়ে প্রচারিত হয় হিন্দিসহ ভারতীয় একাধিক আঞ্চলিক ভাষায়। কথা বলেন বাংলাদেশের টিভি টক শো ও কলকাতার টিভিতে। বর্তমানে আছেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার জ্যোষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে। ব্যাক্তি জীবনে সাংবাদিকতা করলেও লায়েকুজ্জামানের রক্তে মিশে আছে রাজনীতির ধারা -বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বুকে ধারণ করে তিনি ফরিদপুর-২, আসনের গনমানুষের সেবা করতে চান তিনি।