মনির মোল্যা,নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুর শহরের গোবিন্দপুর গ্রামে কুমার নদের পাড়ে পল্লী কবির বাড়ির সামনে কবির স্বরণে জসীম পল্লী মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ও কবির জামাতা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বীক্রম।
শুক্রবার বিকাল ৪ টায় জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে ১৯ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে মেলার মঞ্চে জেলা প্রশাসক ও জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
ফরিদপুর-২ আসনের এমপি শাহাদাব আকবর চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। বরেণ্য অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি পুত্র ড. খুরশিদ আনোয়ার। উপস্থিত ছিলেন কবি পুত্র ড. জামাল আনোয়ার, কবি কন্যা আসমা জসীম উদ্দীন তৌফিক।
মেলার উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ও কবির জামাতা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বীক্রম বলেন, হাজার বছর পরেও যদি কেউ খুজে পেতে চায় কেমন ছিল আবহমান বাংলার প্রকৃতি, কেমন ছিল মানুষের জীবন যুদ্ধের চিত্র তা খুজে পাওয়া যাবে জসীম উদ্দীনের গল্প কবিতা ও গানে। সময়ের সাথে নদ নদী, প্রকৃতি ও জীবন ধারায় পরিবর্তন আসবে সেটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেই পরির্বনের রুপরেখা ও বিবর্তনের ধারা ফুটে উঠে লেখক ও কবিদের অমর লেখনীতে। সমসাময়িক কবিরা তাকে শুধুমাত্র পল্ল কবির খেতাব দিয়ে একটি নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ করতে চাইলেও তাকে নিয়ে যতই গবেষনা হবে, যত মানুষ তার সাহিত্য নিয়ে কাজ করবে, দেখা যাবে তিনি আশলে শুধু পল্লী কবি নয় এই জনপদের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের কন্ঠস্বর। তিনি বলেন, মানুষের জীবন সংগ্রাম, সমাজের শোষন নিপিড়ন, দরিদ্র মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কষ্টের কথকতা, মানুষে মানুষে বৈষম্য ও ভেদাভেদের কথা ছবির মত ফুটে উঠেছে কবির অমর সব সাহিত্য রচনায়। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সমতার পক্ষের প্রকৃতিপ্রেমী একজন সার্বজনিন কথাসাহিত্যিক।
জেলা প্রশাসক ও জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, জসীম পল্লী মেলা শুধু ফরিদপুরের নয় সারা বাংলাদেশের একটি অন্য সাধারন আয়োজন। এ বছর জাতীয় নির্ভাচনের কারণে বিলম্বে মেলা শুরু হলেও আগামী বছর থেকে পহেলা জানুয়ারী কবির জন্ম দিন থেকেই আমরা মেলা শুরু করার চেষ্টা করবো। জসীম ফাউন্ডেশন ও পল্লী কবির পরিবারের সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে জসীম পল্লী মেলার এ আয়োজন দেশের সকলের দৃষ্টি কেরেছে। তাই প্রতি বছরই বাড়ছে মেলার পরিধি ও দর্শনার্থী।
অনুষ্ঠানে এসময় আরো বক্তব্যে রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম। এসময় হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন, হা-মীম গ্রুপ পরিচালক বেলাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, সমাজসেবক শায়মা আজাদ শাম্মি, শায়লা ইসলামসহ আওয়ামী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও মেলায় আগত দর্শনার্ধীরা।
মেলায় প্রায় ২ শত স্টল তাদের গ্রামীন নানা পশরা সাজিয়েছে। এছাড়াও মেলায় সার্কাস, নগোরদোলাসহ বিভিন্ন রাইড। সেই সাথে মেলার মঞ্চে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন পল্লীর জারি সারি গান ও গ্রামীন জনগোষ্ঠীর নানা নাটক মঞ্চায়িত হবে।
০২ ফেব্রুআরি ২০২৩