প্রধান শিক্ষকের বাড়ী থেকে সরকারী ল্যাপটপ চুরি।। নানা প্রশ্ন এলাকাবাসীর

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ বোয়ালমারী উপজেলার চরবর্ণী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ল্যাপটপ প্রধান শিক্ষক মোঃ ছানোয়ার হোসেন এর বাড়ী থেকে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলে সব রকম সুযোগ সুবিধা থাকার পরও সরকারী ল্যাপটপ কেন প্রধান শিক্ষকের বাড়ীতে গেলো আর কারাইবা তা চুরি করলো, এর দায়ভারও বা কে নেবে- এসব নিয়ে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

এলাকার বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে চলতি শিক্ষা বর্ষের জানুয়ারী মাসে একটি ও মে মাসে একটি মোট দুটি ল্যাপটপ বরাদ্ধ দেয় সরকার। ডেল কোম্পানীর ঐ ল্যাপটপ দুটি সংরক্ষণের জন্য স্কুলটিতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকলেও প্রধান শিক্ষক তা বাড়ীতে নিয়ে রাখেন। কিন্তু গত ৮ জুলাই গভীর রাতে ছানোয়ার হোসেনের রাড়ী থেকে সরকারী ল্যাপটপ দুটি চুরি করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন-স্কুলে উপযুক্ত পরিবেশ থাকার পরও ল্যাপটপ দুটি প্রধান শিক্ষক বাড়ীতে রাখলেন কেন? সরকারী এই সম্পদ খোয়া যাওয়ার দায়ভারও বা কে নেবে? আশিকুর রহমান নামে একজন এলাকাবাসী বলেন, স্কুলটিতে আইসিটি বিষয়ে কোন ক্লাস হয়না। বরাদ্ধের পর থেকেই ল্যাপটপ দুটি প্রধান শিক্ষক নিজের বাড়ীতে নিয়ে যান আপন ছেলে-মেয়ের জন্য। স্কুলের শিক্ষার্থীরা আর কখনো ল্যাপটপ দুটির মুখ দেখতে পায়নি। সরকারের মহতি উদ্যোগই ভেস্তে গেছে এ স্কুলে। তিনি আরো বলেন, ৯ জুলাই সকালে এলাকাবাসী শুনতে পান প্রধান শিক্ষকের বাড়ী থেকে স্কুলের ল্যাপটপ চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু তার বাড়ীতে গিয়ে চুরির কোন আলামত দেখতে পায়নি কেউ। এর পিছনে কোন রহস্য আছে কিনা খতিয়ে দেখা উচিৎ।

প্রধান শিক্ষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপত্তার কথা ভেবেই ল্যাপটপ দুটি নিজের বাড়ীতে নিয়ে রাখতাম। সেখান থেকে এনে আবার স্কুলের কাজে ব্যাবহার করতাম। আমার স্কুলে আইসিটি ক্লাস হয়না এ অভিযোগ ঠিক নয়। চুরি একটি দূর্ঘটনা। থানায় জিডি সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে সেটাই মেনে নেবো। উপজেলা সহকারী সহকারী শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোদাচ্ছের হোসেন, ল্যাপটপ স্কুল বা বাড়ী যেখানেই থাকুকনা কেন প্রধান শিক্ষক দায় এড়াতে পারবেন না। আমরা ঘটনা জানার পর তদন্ত করে জেলা অফিসে প্রতিবেদন দিয়েছি। ঐ অফিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x