মনির মোল্যা : ফরিদপুর জেলার ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি দূর্নীতি করে নির্বাচনের পরিবর্তে বিনাপ্রতিদন্দিতায় সিলেক্ট করার ঘটনায় ছাত্রছাত্রী এবং অভিবাবকদেও মধ্যে চরম অশোন্তষ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় অনিয়মের নানান বিষয়। ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি প্রতি বারই সকলের অংশগ্রহনে এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে অভিভাবক নির্বাচিত হয়ে আসছে। এবার সেই নিয়মের থেকে অনিয়ম সৃষ্টি হয়েছে। ফরিদপুর সদও উপজেলা থেকে ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র একটি মহল ব্যাক্তিগত পছন্দের তালিকা করে সংগ্রহ করেছে কিন্তু সকল অভিবাবকদের এই মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি বলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধীক অভিবাবক সাংবাদিকদের জানান।
জানাযায় ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি একাধীকবার নির্বাচিত সভাপতি যশোধা জীবন দেবনাথ পর পর কয়েককবার অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এই স্কুলে ছাত্র ছিলেন তাই সব সময় তিনি স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে , পড়ালেখার মান উন্নয়নে বড় ভ’মিকা রেখেছে। অভিভাবকদের কাছে সব সময় তার গ্রহনযোগ্যতা আছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলের নানান বিষয়ে দূর্নীতি করে আসছে ফলে ড.যশোধা জীবন দেবনাথ (সি আই পি) তাকে এ বিষয়ে একাধীকবার সংযত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার কথা কর্নপাত করেনি।
এ বিষয়ে ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ত,ম,মাসুদ পারভেজ সাংবাদিকদের জানান, ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচিত হতো অভিভাবকদের ভোটের মাধ্যমে কিন্তু এবার ব্যাতিক্রম হলো। তবে আগের কমিটি ছিলো অভিভাবকদের পছন্দের কিন্তু বর্তমান কমিটি যতটুকু জেনেছি চাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুননাহার মহির পকেট কমিটি। স্কুলের প্রকৃত অর্থে উনি একজন অভিভাবক হতে পারেনি। এর আগেও বঙ্গেসর্দি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিলো । সেখানে তার পছন্দের পকেট কমিটি দিতে সর্বাত্বক চেষ্ঠা করেছে।সেখানে অভিভাবকরা অনিয়ম রুখে দিয়েছে। এখন ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকেও একই ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে । সে বিভিন্ন জায়গায় ফারুক খানের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ক্ষমতা দেখাতো। সে অযোগ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি বিনাপ্রতিদন্দিতায় নির্বাচনহীন একটি কমিটি করেছে। এ্ই কমিটির উপর সাধারন অভিভাবকদের কোন আস্থা নেই। ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরুল কবির জিহাদ চাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুননাহার মহির আত্মীয়। সেই সুবাদে স্কুলের সব রকমের দূর্নীতির বিষয়ে সহযোগীতা পায় প্রধান শিক্ষক।
আরো জানান, ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরুল কবির জিহাদ এর দূনর্িিতর বিষয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। স্কুলের নানান বিষয়ে অর্থেও গড়মিল দেখা দেয় । বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে জবাব দিহিতা করতে বললে তিনি ষড়যন্ত্র শুরু করেন এবং কোন হিসাব দেয়না। মন্ত্রনালয়ে তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের সত্যতা মিলেছে তদন্তে। এমন কি বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে যে তদন্ত ছিলো সেটাও সত্য প্রমানিত হয়েছে। ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত মাসিক বেতন সম্পূর্ন ফ্রি করে দিয়েছিলেন ধাপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. যশোধা জীবন দেবনাথ (সি আই পি)। এই বিষয়ে আপত্তি জানায় চাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুননাহার মহি। ফলে অর্থ বছরে এই বেতন ফ্রি বাতিল করেদেন প্রধান শিক্ষক। অথচ গরীব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের এই বেতন পরিশোধ করতেন যশোধা জীবন দেবনাথ। স্কুলের উন্নয়নে এমন দানশীল , শিক্ষিত এবং যোগ্য সভাপতি দরকার। কিন্তু ব্যাক্তি পছন্দের অযোগ্য লোকই নির্ধারন করলেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থকমিটির সদস্য সরোয়ার সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত যত সভাপতি ছিলো তার মধ্যে আমরা শ্রেষ্ট সভাপতি হিসেবে পেয়েছিলাম সি আই পি ব্যাক্তিত্ব ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে। তিনি সভাপতি থাকাকালিন ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৫টি টয়লেট নির্মান করেছেন।প্রতিটি ক্লাসে নতুন হোয়াইট বোর্ড স্থাপন করেছেন। স্কুলের শিক্ষকদেরবেতন সল্পতা থাকায় ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ অনুদান দিয়েছেন। নিজ ব্যায়ে স্কুলের দোতালা ভবন নির্মান করেছেন। প্রতিবছর জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রছাত্রীদেও মাঝে নিচ খরচে ল্যাপটপ বিতরন করেছেন। এসব সেবামুলক কাজের জন্য সব অভিভাবকদেও কাছে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। এবং সত্যিকার অর্থে যদি নির্বাচনের পরিবেশ থাকতো তাহলে তিনিই সভাপতি নির্বাচিত হতেন।
আরো জানালেন, যদিও ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করার ইচ্ছা অনেক অভিভাবকদের ছিলো কিন্তু কেউই এমন পরিবেশে সাহস পায়নি।
এ বিষয়ে চাদপুরকে ফরিদপুর সদরএ অন্তবূক্ত করার জন্য যার ভ’মিকা রয়েছে এমন একজন কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত ফকির সাংবাদিকদের জানান, সাধারন মানুষ চায় যশোদা জীবন দেবনাথ সভাপতি হোক তাহলে ধোপাডাঙ্গা চাদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। কারন এটা প্রতিনিয়ত প্রমানিত যে যশোদাজীবন দেবনাথ গরীব ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
চাদপুর ইউনিয়নের অনেক অভিবাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানালেন, ড.যশোদা জীবন দেবনাথ (সি আই পি) শুধুই স্কুলের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখেন নাই। তিনি চাদপুর ইউনিয়ন এর নতুন ভবন নির্মানের জন্য চাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুননাহার মহির স্বামী অত্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিত মিয়ার কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করে ইউনিয়নকে দান করেন। এবং সেখানে বর্তমানে যে ভবন নির্মান হয়েছে সেখানে নগদ অর্থও প্রদান করেছেন। এমন একজন অভিভাবকের সহযোগীতা অব্যাহত থাকলে চাদপুর ইউনিয়নবাসী উপকৃত হবে বলে মনে করি।
উল্লেথ্য যে গত ২৬ জুন ফরিদপুর জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে গ্রামআদালত বিষয়ে সাংবাদিকদেও সাথে মতবিনিময় সভায় চাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুননাহার মহি তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রাখেন।য সাংবাদিক সমাজকে হেয় করেছে বলে উপস্থিত অনেক সাংবাদিক মনে করছে।
এ বিষয়ে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোস। চাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুননাহার মহির ব্যাক্তিগত পছন্দের লোক দিয়ে একটি বিনাপ্রতিদন্দিতামুলক কমিটি বাতিল চেয়ে নতুন একটি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য অভিভাবকরা দাবী জানান সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে।