রাজিউল হাসান পলাশ: ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় দালালদের হাতে প্রায় জিম্মি হয়ে গিয়েছিল। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা রোগীদের চরম হয়রানির শিকার হতে হতো। তাই অবশেষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরার হস্তক্ষেপে ও থানা পুলিশের সহযোগীতায় দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে স্বস্তি ফিরে আসে হাসপাতালে আশা বিভিন্ন রোগীদের মাঝে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালাল মুক্ত ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদুল হক তিতাস, ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম, ধামরাই রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আদনান হোসেন।
হাসাপাতাল ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে প্রবেশ করে স্থানীয় কিছু নারী-পুরুষ মিলে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের হয়রানি করে আসছিলো। তারা গ্রামের সহজ-সরল রোগীদের চিকিৎসা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিত। বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করিয়ে দেওয়ার নামে রোগীদের সাথে করা হতো ভয়াবহ প্রতারণা।
চিকিৎসা নিতে আসা সুমাইয়া আহমেদ ও শাকিল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা দালালদের কারণে হাসপাতালে ঢুকতে পারতাম না। কিন্তু বর্তমানে হয়রানি আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরা বলেন, গত তিন সপ্তাহের মাঝে একজন দালালও হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারেনি। উপজেলা পর্যায়ে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম দালাল মুক্ত হয়েছে। আগে স্থানীয় দালালরা রোগীদের খুব হয়রানি করতো। আমরা সেদিক চিন্তা করে হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করেছি।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, হাসপাতালে দালালদের আখড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিকদের দালাল নিয়োগ না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।