প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার পরিদর্শন করেন।
বাসস: প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টারমাকে হংসবলাকা নামের এই বিমান পরিদর্শন ও এতে আরোহন করেন। তিনি ককপিটসহ বিমানটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় জাতির অব্যাহত সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত করা হয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, মন্ত্রণালয়টির জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ফারুক খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বিমানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন এই বিমান ১ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে এবং প্রধানমন্ত্রী এর নাম দেন হংসবলাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের বোয়িং ফ্যাক্টরী থেকে টানা ১৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের পর বিমানটি ১ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছে।
এর আগে ২৯ নভেম্বর সিয়াটলে বোয়িং কর্তৃপক্ষ বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলের কাছে নতুন এই বোয়িং ড্রিমলাইনারের স্বত্ব হস্তান্তর করে।
এই নতুন বিমান ১০ ডিসেম্বর ঢাকা-লন্ডন রুটে প্রথম যাত্রা করবে।
এর আগে আকাশ বীনা নামে প্রথম ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ১৯ আগস্ট বাংলাদেশে পৌঁছে। আধুনিক মডেলের এই বিমানের মাধ্যমে বিমান পরিবহনে নতুন যুগের সূচনা হয়। ১ সেপ্টেম্বর বিমানটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, ১০ ডিসেম্বর থেকে এই দুই ড্রিমলাইনার সপ্তাহে ঢাকা-লন্ডন রুটে ৬টি, ঢাকা-দাম্মাম রুটে ৪টি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
অন্যান্য বিমানের চেয়ে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ী ২৭১ আসনের এই বোয়িং ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল গতিতে একটানা ১৬ ঘণ্টা উড্ডয়ন করতে পারে। এতে ৪৩ হাজার ফুট উঁচুতেও ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ ও বোয়িংয়ের মধ্যে ২.১ বিলিয়ন ডলারে ১০টি নতুন ড্রিম লাইনার কেনার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ৭৭৭-৩০০ইআর-এর ৪টি, ৭৩৭-৮০০-এর দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া আরো দু’টি ড্রিমলাইনার রাজহংস ও শঙ্খচিল আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।