জেদ্দায় লোহিত সাগরের পাড়ে বাংলাদেশের পতাকা

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সব প্রান্তেই বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, খুঁজে পাওয়া যায় বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা এবং প্রবাসে কর্মরত রেমিটেন্স যোদ্ধারা মূলত ভাসমান বাংলাদেশ, প্রবাসে বাংলাদেশ, প্রতিটি বাঙ্গালী বাংলাদেশীই একেকজন বাংলাদেশের আলোকবর্তিকার দূত। পিছিয়ে পড়ার দিন শেষ, পিছিয়ে পড়াকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সেই ধারাবাহিকতায় জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নিজস্ব অবকাঠামো বিনির্মাণের জন্য সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকার এর পক্ষ হতে জমি ক্রয় করা হয়েছে। কনস্যুলেটের নিজস্ব ভবন দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে দিবে। সেইসাথে আমরা যারা সৌদি আরবে বসবাস করি,আমাদেরও গর্ব করে কথা বলার সাহস বাড়লো হাজার গুন বেড়েছে।

আমরা যে ভাষায় কথা বলি তা লাখো শহীদের রক্ত দিয়ে কেনা। সৌদি নাগরিকদের জানাতে হবে আমাদের পতাকার মাঝখানের ঐ লালটুকু রক্তে কেনা স্বাধীনতা আর সবুজটুকু দেশ ৷ বাংলাদেশের আছে লড়াকু করুণ ইতিহাস, ইনশাআল্লাহ সামনে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আমরা বাঙালি জাতি ভয়-ভীতি জয় করেছি, সামনের দিন গুলোতে বিজয় অর্জন করেই যাবো।

আমরা বাংলাদেশি যারা সৌদি আরবে আছি তাহাদের সকলের মনে রাখতে হবে ,আমরা একেকজন আমাদের দেশের দূত। আমি যদি এখানে খারাপ কিছু করি,আমাকে কেউ মনে রাখবে না। কিন্তু মনে রাখবে একজন খারাপ বাংলাদেশিকে। জেদ্দা কনসুলেটের নতুনত্বের নায়ক জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন ও তাঁর বলিষ্ট টিম। জাতীয় অনুষ্ঠানের বাহিরেও তিনি জেদ্দা কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বই মেলার আয়োজন সহ ভিন্নধর্মী কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ স্কুল গুলোর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অভিভাবকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করে অনেকাংশ সমাধান করে দিয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেটার বা সিনেমা আর্টিস্ট , কবি , সাহিত‍্যিক, জাতীয় গুণীজনকে আমন্ত্রিত করে প্রবাসী অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করা। ডিউটি সময়ের পরেও প্রবাসীদের সমস্যার কথা শোনামাত্র নিজের টিম নিয়ে ছুটে যাওয়াসহ অনেক নতুনত্ব চোখে পড়েছে জেদ্দা কনস‍্যুলেটের কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে ৷

জেদ্দা কনস‍্যুলেটের আওতাধীন সৌদিআরবের বিভিন্ন প্রদেশে প্রবাসীদেরকে সরাসরি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কনস্যুলেট টিম নিয়ে ছুটির দিনেও গন শুনানীর মাধ‍্যমে প্রবাসীদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করা। প্রতিমাসের শেষ সপ্তাহে কনসুলেট প্রাঙ্গণে গণশুনানী , তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানসহ নানান উদ্যোগ ৷ উদ্যমে কনস্যুলেটের আমাদের পাশে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটে যেসব অনুষ্ঠান,উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে তার প্রায় সব ক’টিতেই আমি উপস্থিত ছিলাম।বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়ার আনন্দ হয়তো আমরা প্রবাসীরাই শুধু বুঝতে পারি।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments