জেতাতে হবে নৌকাকেই: দোলন

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : নৌকা শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নয়, এটি নদীমাতৃক বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আরিফুর রহমান দোলন। বলেছেন, উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই নৌকাকেই বেছে নিতে হবে।
সোমবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে মধুমতি নদীতে এক নৌকাবাইচের আয়োজনে প্রধান অতিথির হয়ে যোগ দেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি।
কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দোলন বলেন, ‘আমাদের বাঙালি ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির অন্যতম একটি উপভোগ্য বিষয় এই নৌকা। নৌকাবাইচ নদীমাতৃক এই বাংলাদেশের প্রধান সংস্কৃতির অংশ। নৌকা আমরা আমরা সবাই পছন্দ করি। আর তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌকাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।’
‘যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই বঙ্গবন্ধু নৌকাকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আজকে আমরা এখানে নৌকাবাইচ উপভোগ করব এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে, বাংলাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত, জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান অনলাইন দৈনিক ঢাকাটইমস ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক। বলেন, ‘এই অঞ্চলের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এটি বিশেষ প্রয়োজন। উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। …যোগ্য, দক্ষ, মানুষের কাজে আসে এমন ব্যক্তি যেন আগামীতে নৌকার মাঝি হয়, শেখ হাসিনার আপনাদের ও আমার সেই আবেদন।’
বিভেদ ভুলে ঐক্য গড়ার আহ্বানও জানান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলন। বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে এই অঞ্চলের উন্নয়নকে এগিযে নিয়ে যাব এটা আমাদের অঙ্গীকার।’

নৌকা বাইচ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান আহাদ, বানা ইউপি চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ূন কবীর বাবু, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান প্রমুখ।প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন আহাদুল হাসান আহাদের নৌকা। তাকে দেয়া হয় ৩২” এল.ই.ডি কালার টেলিভিশন। ২য় স্থান অর্জন করে জয়দেবপুরের সার্জেন্ট সিরাজের নৌকা। তাকে দেওয়া হয় ২৪” এল.ই.ডি কালার টেলিভিশন। ৩য় স্থান অর্জন করে কালি সঙ্করপুরের কবির মিয়া। তাকে দেয়া হয় ১৭” এল.ই.ডি কালার টেলিভিশন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments