মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় জনবল সংকটে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। উপজেলা পরিষদের ২৩টি দপ্তরের মধ্যে ৬টি দপ্তরে ও প্রানী সম্পদ দপ্তরে নেই কোন কর্মকর্তা। অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে ঔসব দপ্তরের কার্যক্রম। এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
জানা যায়, সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। সালথা উপজেলা পরিষদে ২৩টি দপ্তর রয়েছে। এরমধ্যে সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), হিসাব রক্ষণ অফিসার, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলী জনসাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিসার ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন যাবৎ নেই কোন কর্মকর্তা। অতিরিক্তি দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে এই ৬টি দপ্তরের কাজ। এসব দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সপ্তাহে ২বার বা ১বার অফিস করেন। এতে সরকারী কাজের ব্যাঘাত ঘটে বলে একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন। উপজেলায় বেতন উত্তোলণ করতে আসা এক স্কুল শিক্ষক জানান, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হিসাব রক্ষণ অফিস, সেখানে কর্মকর্তা না থাকায় বেতন উত্তোলন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের দক্ষিণে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ভবন করা হয়েছে। কিন্তু কোন কর্মকর্তা না থাকায় প্রায় এক বছর ধরে দাপ্তরিক কোন কাজ চোখে পড়ে নাই। এছাড়াও উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও খাদ্যগুদামের ভবন খুব শীগ্রই সম্পূর্ণ হতে চলছে। কাজ সম্পূর্ণ হলেই কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে। এসব দপ্তরে জনবল না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ঐসব দপ্তরে কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী করছেন উপজেলাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেন উপজেলা পরিষদ। সেক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদে জনবল সংকট থাকলে উন্নয়ণ কাজে কিছু ব্যাঘাত ঘটে। সরকারের উন্নয়নের স্বার্থে এই উপজেলায় জনবল পরিপূর্ণ রাখার জন্য আমরা চিঠি লিখেছি। পূর্ণরায় আবারও জনবল সংকটের জন্য চিঠি লিখবো।